নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাবাকে সাহায্য করতে এবং সংসারের হাল ধরতে এমএ পাস করেও এখন ফুচকার দোকান করছে নদিয়ার শক্তিনগর এর সিম্পি সাহা। জানা যায় দু মাস থেকে ফুচকার ব্যবসা করে আসছে ওই যুবতী। অভাবের সংসারে বাবাকে সাহায্য এবং মায়ের চিকিৎসার খরচ সামলাতে দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে।
তার মা নার্ভের রোগী, প্রতিদিন ওষুধের জন্য খরচ। এছাড়াও গোটা সংসার সামাল দিতে হচ্ছে তাকেই। সিম্পী গান করতে ভালোবাসে, জানা যায় একটি হারমোনিয়াম কিনে রেওয়াজ শুরু করেছিল সে কিন্তু অর্থকষ্টের জন্য নিজের উদ্যোমে সংসারের হাল ফেরাতে ফুচকার দোকানে ব্যস্ততায় আর কিছু হয়ে উঠছে না। রবীন্দ্র সংগীত আধুনিক গানের প্রতি তার দুর্বলতা। কিন্তু পরিবার!
বাবাকে সাহায্য এবং মায়ের চিকিৎসার জন্য এম এ পাশ করেও ফুচকার দোকান করছে সিমপি সাহা।
শিম্পি সাহা বলে, আমি পাশ করেছি কিন্তু কোন চাকরি হচ্ছে না। বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পড়াশোনাও করছি। পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে বাবাকে সাহায্য করছি। কিন্তু আমার কোন লজ্জা লাগছে না। দু মাস থেকে ফুচকার দোকান করছি অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়েছে।ছোট ছোট বাচ্চারা ফুচকা খেতে আসছে পাশাপাশি অনেক মানুষ প্রতিদিন ফুচকা খেতে আসেন আমার দোকানে। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আমি বাবাকে দেই। পাশাপাশি মায়ের চিকিৎসার খরচ চলে।