কোচবিহারঃ
করোনা পরীক্ষার গতি আনতে বিদেশের আধুনিক মেশিন বসলো কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
বুধবার সকালে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক মেশিনপত্র দিয়ে ল্যাবরেটরির উদ্বোধন হল। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তিনটি মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। করোনা, ক্যানসার ও টিউমার সম্পর্কিত নানা পরীক্ষা সেখানে করা যাবে বলে জানান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালএর ভাইস প্রিন্সিপাল ডক্টর রাজীব প্রসাদ। যে পরীক্ষাগুলি এতদিন সেখানে করা হত না সেই আধুনিক মানের পরীক্ষা গুলি এখন থেকে এখানেই হবে। এর ফলে একদিকে যেমন জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার সুবিধা হবে তেমনই অন্যত্র রেফারের প্রবণতা কমবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। ডাক্তার রাজীব প্রসাদ আরো জানান, তিনটি মেশিনের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা হয়েছে। অত্যাধুনিক মেশিন হওয়ায় কম সময়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এর ফলে চিকিৎসাব্যবস্থার গতি আসবে।
ব্যাপক ভাঙ্গন কবলিত কোচবিহারের ১৬ নাম্বার ওয়ার্ড ফাঁসির ঘাট এলাকায়
টানা বৃষ্টিতে জল স্ফীতি কোচবিহার তোরসা সহ বিভিন্ন নদীতে। আর গত ২৪ ঘন্টায় কোচবিহার শহর সংলগ্ন ১৬ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসির ঘাট এলাকার প্রায় ৪০০ মিটার নদী ভাঙ্গন কবলিত হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যা হাজারের ওপরে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িঘর ভেঙ্গে সুরক্ষিত স্থানে উঠে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতি বছর এর মত এই বছর ভাঙ্গনে কোনরকম সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও বা কোচবিহার মহকুমাশাসক রকিবুর রহমান ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় ত্রিপল পাঠিয়েছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল শর্মা জানাচ্ছেন, একটানা চার পাঁচ দিন থেকে এমন চলছে। বর্তমানে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে একবার এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন তারপর থেকে অভিযোগ তিনি বেপাত্তা। বাসিন্দাদের হাতে কিপারের কুপন থাকলেও সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। নদী ভাঙ্গন এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে ঘরবাড়িগুলো কি তারা সুরক্ষিত স্থানে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা সম্পূর্ন পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।