নিউজ ডেস্ক:
২০১৪ সালেই নাকি দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে। সম্প্রতি ‘Times’-এর একটি সামিটে যোগদান করে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর অভিনেত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল।
সাম্প্রতিককালে বহুবার বিতর্কের শিরোনামে এসেছেন কঙ্গনা রানাউত। কখনও কখনও JNU নিয়ে, কখনও নেপোটিজম নিয়ে বলি ইন্ডাস্ট্রিরই তাঁবড় পরিচালকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তো কখনও তাঁর কটাক্ষের তিরে বিদ্ধ হয়েছেন হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোনও। সম্প্রতি দেশের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক তারকা বনাম ভারতীয় তারকাদের তরজায় একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউডের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। শুধু বিতর্কে জড়ানো নয়, অভিনেত্রীর টুইট মুছে দিয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছে টুইটার। এবার দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য ঘিরে আরও একবার উত্তাল হল নেট দুনিয়া।
‘টাইমস’ আয়োজিত এক সামিটে কঙ্গনা রানাউত দেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘১৯৪৭-এ দেশ আদতে স্বাধীনতা পায়নি। ভিক্ষা পেয়েছিল। আসল স্বাধীনতা পেল ২০১৪-য়।’ অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পরই করতালি ঝড় ওঠে অনুষ্ঠানে। ‘পদ্ম সম্মান’ প্রাপ্ত অভিনেত্রী ২০১৪-য় স্বাধীনতা বলতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন এবং তাঁর সরকার গঠনের কথাই বলেছেন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। যদিও এই মন্তব্য নিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখেও পড়েছেন অভিনেত্রী। ‘চাটুকার’ তকমাও পেয়েছেন।
এক নেটিজেন অভিনেত্রীকে বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘কাঠের ঘোড়ায় চড়ে প্লাস্টিকের তলোয়ার নিয়ে বীরাঙ্গনা হওয়া সরকারি চাটুকার স্বাধীনতার সেনাদের অপমান করছে। হাজারও বলিদানের পরিণামকে ভিক্ষা নাম দিচ্ছে।’ আবার কঙ্গনার মন্তব্যের পর করতালির ঝড় ওঠা প্রসঙ্গে কটাক্ষ, ‘উনি (কঙ্গনা) যাতে আর কিছু না বলতে পারেন, সেজন্য তাঁকে থামাতেই লোকে করতালি দেয়।’ আবার অনেকের মন্তব্য, ‘কেবল পুরস্কার পাওয়ার জন্যই এই সমস্ত বলছেন।’ আরও এক নেটিজেন লিখেছেন,’ এই কারণেই তিনি ৩ বছর আগে ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করলেও কোনও সংবাদমাধ্যম সেটি দেখায়নি।’ সবমিলিয়ে, ফের নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রে কঙ্গনা রানাউত। এবার এই জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার!