নিজস্ব সংবাদদাতা:
বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্য একটি পার্বণ হলো মকর সংক্রান্তি। পৌষ মাসের শেষ দিন এই মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে নদী, জলাশয় সহ বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রের পুণ্যস্নানে মাতেন পুণ্যার্থীরা। বীরভূমের এইসকল তীর্থক্ষেত্রের মধ্যে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের জন্য বছরের পর বছর ধরে ভিড় জমতে লক্ষ্য করা যায় ঐতিহ্যমণ্ডিত কবি জয়দেবের জয়দেব কেন্দুলিতে। এখানে অজয় নদের তীরে পূণ্যার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এই জায়গায় প্রতিবছর পুণ্যার্থীদের মকর স্নানের জন্য ভিড় করার পিছনে যে কারণ জানা যায় তা হল, কবি জয়দেব প্রতিবছর গঙ্গায় মকর সংক্রান্তিতে স্নান করতে যেতেন। কিন্তু কোন এক বছর তার অসুবিধার কারণে তিনি যেতে পারেননি। সেই সময় তিনি অনুতপ্ত হলে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের রাতে তাকে খোদ গঙ্গা স্বপ্নে জানান, কবি জয়দেব গঙ্গায় যেতে না পারলেও গঙ্গা নিজেই অজয়ে আসবেন। এই কথিত কাহিনী থেকেই এর মাহাত্ম্য দিনের পর দিন ধরে চলে আসছে।
প্রতিবছর এই মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে জয়দেব কেন্দুলীতে একটি মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর এই সময় করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যদিও প্রশাসনের শেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে ছোট করে হলেও হচ্ছে মেলা। এর পাশাপাশি শুক্রবার ভোর থেকেই প্রশাসনের তরফ থেকে তৈরি করে দেওয়া ঘাটে পুণ্যার্থীদের স্নানের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।