সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে, অতিরিক্ত ৯৭টি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান এবং ১৫৬টি ‘প্রচন্ড’ অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), এই বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। এর জন্য প্রায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি করছে কাউন্সিল।
আরও দেশিয় সরঞ্জামে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতে সেনাবাহিনী। বাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে, অতিরিক্ত ৯৭টি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান এবং ১৫৬টি ‘প্রচন্ড’ অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর), এই বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। দুটি এয়ারক্র্যাফ্টই দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি। কাজেই এই অনুমোদন, দেশে প্রতিরক্ষা উত্পাদন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য এর জন্য প্রায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি করছে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিলেন। তারপর থেকে সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমে বিদেশি নির্ভরতা কমানোর প্রয়াস চালাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করছে সেনাবাহিনী। এদিনের অনুমোদন, সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
তেজস মার্ক ১ ভারতের তৈরি প্রথম ফাইটার জেট। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ফাইটার জেটকে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য চূড়ান্ত ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল। তেজস মার্ক ১-এ যুদ্ধবিমানগুলি কেনা হচ্ছে বায়ুসেনার জন্য। আর চপারগুলি বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে। এছাড়া, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে কাউন্সিল সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই-এর একটি বড় আপগ্রেডও অনুমোদন করেছে।
বায়ুসেনার ২৬০টিরও বেশি এসইউ-৩০ বিমান রয়েছে। ভারতে তৈরি উন্নত মানের রাডার, এভিওনিক্স এবং সাবসিস্টেম-সহ এই বিমানগুলিকে আপগ্রেড করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮৪টি বিমান আপগ্রেড করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখতে, কাউন্সিল তাদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকার এবং উন্নত কম্পিউটার সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়েছে। নৌবাহিনীর জন্য, মাঝারি পাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। দুই ধরনের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক যুদ্ধাস্ত্রও কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।