শিলিগুড়ি:
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল পুরসভার এক অস্থায়ী সাফাই কর্মীর।তাঁর নাম দিলীপ রাউথ।উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আজ,বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়।পুরসভার ২৮নং ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন ওই ব্যক্তি।ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সম্প্রীতা দাস জানান,৩ দিন ধরে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালে।প্লেটলেট অনেকটা নেমে গিয়েছিল।গতকালই ১৫বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছিল।আজ আরও ৪ বোতল রক্ত মজুত করা হয়েছিল।তবে তাঁর ওয়ার্ডে আর কেউ জ্বরে আক্রান্ত নেই।একজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আরও সচেতনতায় জোর দেওয়া হবে।ফগিং এবং স্প্রেয়িংয়ে জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।এদিকে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় কার্যত শিলিগুড়ি আজ মৃত্যুনগরীতে পরিণত হয়েছে।এজন্যে পুরসভার অদক্ষতাকেই দায়ী করেছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।সংক্রমণ বাড়ছে,অথচ হেলদোল নেই পুরসভার।তাঁর কথায়,”রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হতে হবে।এবং শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে জানাতে হবে কেন্দ্রকে।কারণ মৃত্যু নগরীতে পরিণত হয়েছে এই শহর।বহু ডেপুটেশন,বিক্ষোভ হয়েছে।পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভার উদ্যোগ নজরে পড়ছে না।”বিধায়ককে পালটা খোঁচা ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের,”উনি কেন্দ্র কেন হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-র দ্বারস্থ হতে পারেন।কলকাতায় দলীয় কিছু কর্মসূচি ছাড়া ওঁকে তো শহরে দেখাই যায় না।”তিনি জানান,গত ৭ দিনে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।আক্রান্তের শতকরা হার কমেছে।পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতর যৌথভাবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসছে।মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পুজোর ছুটির মধ্যেও একযোগে ভালো কাজ হয়েছে।তবে এতে আত্মসন্তুষ্টির কিছু নেই।লাগাতার ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাজ করবে পুরসভা।পতঙ্গবিদেরা কাজ করছে।স্বাস্থ্য দফতরও এগিয়ে এসছে।ডেঙ্গি নির্মূল করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।তবে একইসঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা।তার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।