আনুষ্ঠানিকভাবে রাস চক্র ঘুরিয়ে পুজো করে কোচবিহার রাস উৎসবের শুভ সূচনা করলেন জেলা শাসক। সর্বসাধারণের জন্য মদনমোহন মন্দির খুলে দেওয়া হলো।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাস যাত্রার শুভ সূচনা হলো রবিবার রাতে। এদিন কোচবিহার মদনমোহন বাড়ি মন্দিরে রাজবেশে আসেন জেলাশাসক, তিনি পুজো দিয়ে এবং রাস চক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসব এর শুভ সূচনা করলেন।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী এই মেলাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া বইছে। ১৮১২ সালে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ এই মেলার সূচনা করেন। কার্তিকী পূর্ণিমার এই তিথিতে তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যের রাজধানী স্থানান্তর হয় ভেটাগুড়িতে। এই উপলক্ষে ওই গৃহ প্রবেশের দিন রাসযাত্রার আয়োজন হয়। সেই থেকে ঐতিহ্য পরম্পরা মেনে রাস উৎসব চলে আসছে। বর্তমানে এই রাসযাত্রার অনুষ্ঠান পরিচালনা করে কোচবিহার দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ড। মহারাজাদের মদনমোহনের রাসযাত্রা উপলক্ষে কোচবিহার শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে আয়োজন হয় রাসমেলার। যা পরিচালনা করে থাকে কোচবিহার পৌরসভা। এবছর রাস উৎসব ২১১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
রাজা না থাকলেও রাজ নিয়মেই পরিচালিত হয় এই উৎসব। রাসচক্র ঘুরিয়ে মহারাজারা এই মেলার শুভ সূচনা করতেন। আজও সেই নিয়মেই জেলা শাসক এই রাসযাত্রার সূচনা করেন। এইদিন জেলার শীর্ষ এই আধিকারিককে রাজ মর্যাদা দেওয়া হয়। ‘তিনি যেন একদিনের রাজা’।