ময়নাগুড়ি, ১৬ জুলাই : পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এবং পাট জাক দেওয়ার জায়গার অভাবে মাথায় হাত পড়েছে ময়নাগুড়ির পাট চাষীদের। জলের অভাবে পাট জাক দিতে সমস্যার মুখে চাষীরা। পাটের রঙ কালো হয়ে যাচ্ছে, ফলে সমস্যায় পড়েছেন চাষীরা। এই অবস্থায় আগামীতে পাট চাষ করবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন তারা। উত্তরবঙ্গে লাগাতার বেড়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। যার জেরে নাজেহাল মানুষ । এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত পাট চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে পাট জাক দেওয়ার সময় হলেও পারছেন না কৃষকরা। প্রচন্ড দাবদাহে খাল বিল পুকুর সমস্ত কিছুই শুকিয়ে গিয়েছে ফলে পাট নষ্ট হচ্ছে জমিতেই। এমনকি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারনে রাস্তার পাশে থাকা নায়নজুলি গুলি ভরাট করে দিয়েছে সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে একসময় যেখানে চাষীরা পাট জাক দিতেন এখন তা আর পারছেন না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার দরুন ছোট ছোট ডোবা গুলিতেও জল শুকিয়ে যাচ্ছে। এর দরুণ পাটের রঙ কালচে হয়ে যাচ্ছে। বাজারে যার বাজার দর খুবই সামান্য। চাষীদের অভিযোগ, পাট চাষ করতে বিঘায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। এবছর পাট চাষ করলে তা জাক দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। একদিকে জাক দেওয়ার জায়গার অভাব অন্যদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব। যার ফলে পাটের রঙ এর পরিবর্তন হচ্ছে। কালো কিংবা বাদামি রঙের দেখা মিলছে পাট গুলিতে। যেগুলো বাজারে বিক্রি করলে বাজার দর খুবই কম। যে পরিমান খরচ করে তারা পাট চাষ করেছেন তা উঠবে না বলেও অভিযোগ করেন চাষীরা। ফলে পাট চাষে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান চাষীরা। ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা এলাকার কয়েকশো বিঘা পাট চাষ করলেও জাক দেওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় বলেন, " বৃষ্টির অভাবে পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জায়গা নেই পাট জাক দেওয়ার।" মিনতি রায় বলেন, "জলের জন্য সমস্যায় পড়েছি। ধান রোপণ করতে পারছি না। বৃষ্টি হলে ধান চাষ করতে পারবো কিন্তূ বৃষ্টি না হলে খুব সমস্যায় পড়বো আমরা।"
বৃষ্টির অভাবে মাথায় হাত পাট চাষীদের
RELATED ARTICLES