বাবুল সরকার, কামাখ্যাগুড়ি, ৬ মার্চঃ
কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা চৌপথীতে বসতে চলছে বীর বীরসা মুন্ডার মূর্তি। রবিবার সকালে বারবিশা চৌপথীতে মূর্তি বসানোর প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন আদিবাসী নেতা লুইস কুজুর। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বারবিশায় রাজবংশী জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে বীর চিলা রায়, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বসানো হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি বারবিশা চৌপথীতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির শিলান্যাস হয়। এবার এলাকায় বসতে চলেছে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বীরসা মুন্ডার মূর্তি। এই প্রচেষ্টার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে রবিবার দুপুরে আদিবাসী নেতা লুইস কুজুর বারবিশা চৌপথীতে মূর্তি বসানোর প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে সব দিক খতিয়ে দেখেন। বারবিশা চৌপথী থেকে কুমারগ্রামগামী রাস্তায় স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির ঠিক পাশেই বীর বীরসা মুন্ডার মূর্তিটি বসানো হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। আদিবাসী নেতা লুইস কুজুর বলেন, ‘বারবিশা চৌপথীতে বীর চিলা রায়, স্বামী বিবেকানন্দ ও ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বসানো হয়েছে। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তির শিলান্যাস হয়ো গিয়েছে। এবার নতুন করে এলাকায় বীর বীরসা মুন্ডার মূর্তি বসবে। খুব শীঘ্রই সেটি বসানো হবে।’ এদিন লুইস কুজুর আরও বলেন, ‘বীরসা মুন্ডার মূর্তি ছাড়াও নেপালি কবি ভানুভক্তের একটি মূর্তি বসানো যায় কিনা, সে বিষয়ে আমরা ওই সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলব।’