ময়নাগুড়ি, ২৪ জুলাই : উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী মন্দির হলো ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ মন্দির। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে এই জল্পেশ মন্দিরের শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের ঢল নামে। এই উপলক্ষে মেলাও বসে। তবে আদালতের নির্দেশে এবছর জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে কারণে প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষের উদোগে তড়িঘড়ি মন্দিরের বাইরে থেকে জল ঢালার জন্য চ্যানেল ও পাইপ লাগানো হয়েছে। পাইপের মাধ্যমে সেই জল শিবলিঙ্গে যাবে। পুর্নার্থীরা মন্দিরে লাগানো জায়েন্ট স্ক্রীনে তা দেখতে পারবে। আর রবিবার তাই দূর দুরান্ত থেকে আসা পুর্নার্থীরা হতাশ এবং অসন্তুষ্ট। তাদের কথায় বাবার দর্শন পেলাম না। পূজা দিয়ে মন ভরছে না। তাছাড়া সেই জল বাবার মাথায় যাচ্ছে কিনা বুঝতে পারছিনা। দূর থেকে এসে বাবার দর্শন পেলাম না। মেনে নেওয়া যায়না। অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে বিপাকে পড়েছেন মেলার ব্যবসায়ীরাও। ভক্তদের ভিড় কম থাকায় বেচা বিক্রি অনেকটা কম হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য গত বছর এক পুনার্থী শ্রাবণ মাসে মন্দিরে এসে ভিড় দেখে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছরের শ্রাবণ মাসের শেষ দুই রবিবার রাত বারোটা থেকে সোমবার রাত বারোটা পর্যন্ত একইভাবে জল ঢালার ব্যবস্থা করা হয়। আর এবছর শ্রাবণ মাসের সবদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জল্পেশ মন্দির কমিটির অফিস ঘরের দেওয়ালে সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে পুর্নার্থীদের জন্য চ্যানেল ও পাইপ লাগিয়ে জল ঢালার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমনকি আদালতের নির্দেশিকার ফলে ভক্তদের জন্য টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে যেহেতু মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে বেশ কিছু ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু তাদের খরচ বহন করতে না পারায় তাদের আপাতত বসিয়ে রাখা হবে। ফলে নিরাপত্তার পুরো বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসন দেখবেন বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সম্পাদক গিরিন্দ্র নাথ দেব।