ডুয়ার্স:
বক্সার জঙ্গলে ফের ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের পর ফের হালে ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক ব্ল্যাক প্যান্থারের তিনটি ছবি।আদতে ওই ব্ল্যাক প্যান্থাররা লেপার্ড।জিনগত কারনে কিছু কিছু লেপার্ড কালো হয়।বৈজ্ঞানিক ভাবে এদের ‘ম্যালিনেস্টিক’ লেপার্ড বলা হয়।ওই কালো বর্ণের সঙ্গে মানব দেহে শ্বেতী রোগের মিল রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা।তবে অদ্ভুত দর্শন হওয়ার কারনে দিনের আলোতে এদের দেখা প্রায় পাওয়াই যায় না।রাত নামতেই শিকারের খোঁজে বের হয় ব্ল্যাক প্যান্থাররা।তবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোন্ নির্দিষ্ট জায়গায় ওই কালো চিতাবাঘের দেখা মিলেছে, তা নিরাপত্তার স্বার্থেই জানাতে চায়নি বনদপ্তর।শনিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই বিরল দর্শন বন্যপ্রাণির ছবি প্রকাশ করেছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রবীণ কাসোয়ান।
তবে সব থেকে আশার কথা হ’ল যে, এখনও পর্যন্ত যতবার বক্সার জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মিলেছে, তার সবক্ষেত্রেই বক্সা পূর্বের জঙ্গলের পাহাড়ের ঢালে, কিন্তু এবার ওই অদ্ভুত দর্শন কালো চিতাবাঘকে দেখা গিয়েছে বক্সা পশ্চিমের জঙ্গলের গভীরে।বনকর্তাদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, বক্সার জঙ্গলের জীববৈচিত্র্য ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে জঙ্গলের কোনায় কোনায়।বক্সায় বাঘের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্কের অবসান করতে ৭৬০ বর্গ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকায় একশোটিরও বেশি ক্যামেরা ট্র্যাপ বসিয়েছিল বনদপ্তর।তাতে এখনও পর্যন্ত বাঘের ছবি ধরা না পড়লেও, প্রায় অবলুপ্তির পথে যেতে বসা বেশ কিছু বন্যপ্রাণির ছবি ধরা পড়েছে ওই গভীর জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায়।তাতেই নতুন মাত্রা এনেছে ব্ল্যাক প্যান্থার অথবা ম্যালিনেস্টিক লেপার্ড।গত তিন বছরে যতবার কালো চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছে, তার বেশিরভাগই জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।এবার শীতের একেবারে শুরুর সময় ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মেলায় উচ্ছ্বসিত বনকর্তারা।বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রবীণ কাসোয়ান জানিয়েছেন “ইতিপূর্বে বক্সার জঙ্গলে যতবার ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, তা এবারের মত স্পষ্ট হয়নি।এবার কালো চিতাবাঘের ‘ম্যালিনেস্টিক’ রঙ অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়েছে।আমরা আশাবাদী যে বক্সার জীববৈচিত্র সঠিক সংরক্ষণের ফলে আরও সমৃদ্ধ হবে।”