নিউজ ডেস্ক:
মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ভারতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের দাপুটে বিজেপি নেতা তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। ভারতের রাজনীতিতে, যেখানে ৫০ বছর বয়সী নেতাদেরই যুব নেতা হিসাবে ধরা হয়, সেখানে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন নিশীথ প্রামানিক। বুধবার, বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে যে ৪ জন শপথ নিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তবে, মন্ত্রিসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হওয়াটাই তাঁর একমাত্র কৃতিত্ব নয়। একইসঙ্গে তিনি এদিন গড়ে ফেললেন বেশ কয়েকটি রেকর্ডও।
মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বুধবারের রদবদলের পর মোদী মন্ত্রিসভার গড় বয়স, ভারতের ইতিহাসে সবথেকে কম হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কমবয়সীদের। আর সেই নীতি মেনেই এদিন মন্ত্রী হলেন নিশীথ প্রামাণিক। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, মন্ত্রীসভায় ভারতের সব অংশের সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব চান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেদিক থেকে দেখলে নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার জেলা থেকে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন, একই সঙ্গে সর্বকালের প্রথম রাজবংশী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। তাই কোচবিহার জেলা এবং রাজবংশী সম্প্রদায়কে ভারতের মানচিত্রে তুলে ধরার কৃতিত্বও দিতে হবে নিশীথ প্রামাণিককেই।
অনান্য খবর- উদয়ন গুহ’র হাত ধরে বড়শাকদলের কর্মীসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান
সর্বকনিষ্ঠ, সর্বকালের প্রথম রাজবংশীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নিশীথ প্রামানিক
পরের খবর- দিনহাটায় শিক্ষক সিদ্ধেশ্বর সাহার উদ্যোগে বুক ব্যাংক এর শুভ উদ্বোধনে সাংসদ নিশীথ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে দিনহাটায় বুক ব্যাংকের সূচনা হলো। দিনহাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সিদ্ধেশ্বর সাহা এডুকেয়ার এন্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই বুক ব্যাংকের সূচনা হয়। জানা গেছে এই বুক ব্যাংক থেকে দু:স্ত পড়ুয়ারা বিনামূল্যে বই নিতে পারবে, এবং বৎসরান্তে সেই বই আবার ফেরত দিতে হবে। অভিনব এই উদ্যোগের শুভ উদ্বোধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। এছাড়াও ছিলেন চৌধুরীহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী সেবানন্দ মহারাজ, শিক্ষক সিদ্ধেশ্বর সাহা।
অনান্য খবর- মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা কি দায়িত্ব পেল, দেখুন
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ নিশীথ প্রামানিক বলেন, শিক্ষকরা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই শিক্ষকতাকে বৃত্তি হিসেবে না দেখে এটাকে ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই ধরনের একজন শিক্ষক সিদ্ধেশ্বর সাহা। যিনি দীর্ঘ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলছেন কোন অর্থের জন্য নয়, প্রকৃত সমাজসেবার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমান সময়ে এই ধরনের শিক্ষকের আরো বেশি বেশি করে দরকার। পুরো খবর