মাথাভাঙাঃ
কৃষি ক্ষেত্রে প্রথাগত চাষ বাসের বাইরে অত্যাধুনিক পদ্ধতি এবং নতুন নতুন ফসল ফলিয়ে লাভের মুখ দেখছেন বহু কৃষক । ইতিমধ্যে সরকারি ভাবেও নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ যা চাষীদের অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষ বাসের উৎসাহী করে তুলেছে। যেমন জিরো টিলারের মাধ্যমে গম ও ভুট্টা চাষ, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বীজ তলা তৈরি এবং ধান রোপন। ইতিমধ্যে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা করণের উদ্যোগে বহু চাষী অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। অনেকে আবার সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিত্য নতুন চাষের ভিডিও দেখে নিজ উদ্যোগে করছে অত্যাধুনিক চাষ। সেই মত ড্রাগন ফলের চাষ করে যেমন প্রচুর মুনাফা করছেন তেমনি এই ফলের চাষ করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের কৃষক নির্মল বর্মন।
জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুজনাই নদী তীরবর্তী পূর্ব মুকুল ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নির্মল বর্মন। তিনি প্রথম ইউ টিউব চ্যানেলে ড্রাগন ফলের চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন।এবং প্রায় তিন বছর আগে তিনি নিজের আধ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেন। এই ড্রাগন ফল চাষের বিশেষত্ব হলো চাড়া গাছ লাগানোর দুই থেকে আড়াই বছর পর ফল দিতে শুরু করে। এবং একই গাছ থেকে প্রায় তিরিশ বছর ধরে ফল দেয়। বছরে ৬ মাস গাছে ফল ধরে বাকি ছয় মাস ফল দেয় না। আরও জানা যায় বছরে বিঘা প্রতি প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার ফল বিক্রি হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে একবার অর্থ বিনিয়োগ করে প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে সেই গাছ থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা বিশেষ লাভ জনক চাষ বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞ গণ।
অনান্য খবর- পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কোচবিহার জেলা জুড়ে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি
ড্রাগন ফল চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন মাথাভাঙ্গার কৃষক নির্মল বর্মন
এক এক কেজি ড্রাগন ফল বর্তমানে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইতি মধ্যে কৃষক নির্মল বর্মন ফল বিক্রি করে সাফল্যের মুখ দেখছেন। গতবছর তিনি প্রথম ফল পান। তবে তা ছিল অনেকটাই কম। কিন্তু এবছর গাছ ফলে ভরে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে তিনি খুশি। পূর্ব মুকুলডাঙার বাসিন্দা নির্মলবাবু বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে ড্রাগন ফ্রুট বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। সেকারণে ফালাকাটা বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।‘