মালদাঃ- বন্ধ করে রাখা হয়েছে ক্যানেল। পাস হচ্ছে না খালের জল। ফলে জল জমছে জমিতে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবাড়িও। এই মর্মে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের চাষীদের। অভিযোগ শাসক দলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। নিজেদের জমির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন চাষীরা । মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর-উত্তর রামপুর গ্রামের পূর্ব সীমানা থেকে বাঁধ রোড থেকে মহানন্দা নদী পর্যন্ত একটি ক্যানেল আছে। যে ক্যানেল থেকে খালের জল পাস হয়। অভিযোগ এক বছর ধরে ক্যানেল বন্ধ রেখেছে। নিজেরা মাছ চাষ করছে তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্যানেল বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হক এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা অঞ্চল চেয়ারম্যান প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে।
চাষিরা জানিয়েছেন দ্রুত ক্যানেল খোলা না হলে প্রায় ৫০ জন চাষের জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সাথে উত্তর রামপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বেশ কয়েকটি বাড়ি। তাই ক্যানেল খোলার দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক স্তরে মাস পিটিশন দিয়েছেন চাষিরা। অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিও-এসডিও এবং জেলা শাসকের কাছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি পাল্টা বলেছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই অভিযোগ করা হচ্ছে। উত্তর-রামপুরের চাষী নুর আলম বলেন,”তিন বছর ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাস মাছ চাষ করছে। সে ক্যানেল বন্ধ করে রেখেছে। পঞ্চায়েত মাথা ঘামাচ্ছে না। আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করব। প্রায় ১০০ বিঘা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
অনান্য খবর- পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধিতে দিনহাটায় বাইক হাটিয়ে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ফরওয়ার্ড ব্লক
ক্যানেল বন্ধ করে রাখায় জমিতে জমছে জল, নেই কোন নিকাশি ব্যবস্থা। বিক্ষোভে চাষীরা
মুকুন্দপুরের চাষী জিয়াউল হক বলেন,”এই ক্যানেলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রায় ১০০ বিঘা চাষের জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ ইচ্ছে করে করছে।এতে পঞ্চায়েত সদস্য মদত দিচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি না তো বৃহত্তর আন্দোলন হবে।” উত্তর রামপুরের বাসিন্দা ফাতেমা খাতুন বলেন,” খালের জল ক্যানেল দিয়ে যাচ্ছে না। ক্যানেল বন্ধ করে রেখেছে। চাষের জমিতে জল জমছে। জল উঠছে ঘরবাড়ি তেও। উনুন ভিজে গেছে। রান্না করতে পারছি না। বাচ্চাদের বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না।”
অনান্য খবর- পেট্রোল সেঞ্চুরি করতেই এবার শিলিগুড়িতে কেক কেটে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ তৃণমূলের
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হক বলেন,”ক্যানেল বন্ধ করে রাখার কোনো ব্যাপার নেই।উল্টো আমি ক্যানেল সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।এনআরজিএস প্রকল্পে স্কিম ধরা হয়েছে। যারা অভিযোগ করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে। অন্য দল থেকে তৃণমূলে এসেছে তারা। এই সব অভিযোগ করে ষড়যন্ত্র করছে। তবে চাষীদের সমস্যার সমাধান করা হবে।” প্রশাসনের উচিত এই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা। ১০০ বিঘার বেশি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ঘর বাড়ির।