আলিপুরদুয়ারঃ
বুধবার সকাল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে শুরু হল পরীক্ষামূলক রেশন প্রকল্প। আলিপুরদুয়ার পৌরসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রাহককে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। জানাগেছে সম্প্রতি করোনা আবহে রাজ্যের সর্বস্তরের নাগরিকের সুরক্ষার স্বার্থে দুয়ারে রেশন প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত এদিন আলিপুরদুয়ার পৌরসভা সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। এমনকি অসুস্থ ও বয়স্ক জনিত সমস্যা থাকা গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন খোদ জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। এদিন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে নিজ হাতে রেশন পৌঁছে দেন জেলাশাসক।আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার কে সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কর্মসূচি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
প্রশাসনের এমন উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
বুধবার থেকে আলিপুরদুয়ারে পরীক্ষামূলকভাবে দুয়ারে রেশন ব্যাবস্থা চালু হল। এদিন জেলার ৬ ব্লকের সর্বত্র দুয়ারে রেশন ব্যাবস্থা চালু করে জেলা প্রশাসন। জেলায় মোট ৬৯ টি পয়েন্ট থেকে দুয়ারে রেশন ব্যাবস্থা চালু হয়। সকালে দুয়ারে রেশন দিতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গেছেন জেলা শাসক আই এ এস সুরেন্দ্র কুমার কুমার মীনা। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার সহ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিকরা এদিন দুয়ারে রেশন ব্যাবস্থা চালু করেন। এদিন আলিপুরদুয়ার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজ পাড়াতে প্রথমে শয্যাশায়ী ৮০ বছরের বৃদ্ধা রাধা আচার্যীর বাড়িতে রেশন নিয়ে যান জেলা শাসক ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। এদিন রাধা দেবীর বাড়িতেই মেশিনের সাহায্যে রেশন বন্টনের স্লিপ দিয়ে দেন স্থানীয় রেশন ডিলার। একেবারে বাড়ির দরজায় চাল, গম, সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রী দিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক ভাবে হলেও দুয়ারে রেশন পেয়ে খুশি রেশনের উপভোক্তারা।