পুরুলিয়া:
আদিবাসী বিরোধী কর্মকান্ডের বিরোধিতা এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা সহ ৫ দফা দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার “বাংলা বনধ” -এর ডাক দিয়েছিলো আদিবাসী সেঁঙ্গেল অভিযান । সেই মতো এদিন সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে জেলার আদিবাসী ব্লক গুলিতে বাস চলাচল উপর প্রভাব পড়তে দেখা যায়, এদিন সকালে কয়েক ঘন্টা জন্য পুরুলিয়া- জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাটাডি মোড়ে পথ অবরোধে সামিল হন আদিবাসী সেঁঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দক্ষিন দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের দন্ডি খাটানোর প্রতিবাদে, সাঁওতালি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো গঠন,ও কুড়মি সাম্প্রদায়কে ST তালিকায় অন্তর্ভুক্তি না করা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা। সম্প্রতি কয়েকদিন পূর্বেই কুড়মী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া জেলার কুস্তাউর রেলস্টেশন এবং পুরুলিয়া বরাকর রাজ্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করা হয়েছিল, কুড়মী সমাজের মূলত দাবী ছিল তাদেরকে এসটি তালিকাভুক্ত করতে হবে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২০ শে সেপ্টেম্বর এই একই স্থানে কুড়মী সম্প্রদায়ের মানুষজন রেল রোকো কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন, আবার আদিবাসীদের অন্য এক সংগঠনের ধারা আজকে ১২ ঘন্টা বন্ধ ডাকা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের প্রশ্ন দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন হোক তাতে কারো কোন আপত্তি নেই, কিন্তু এই পুরুলিয়া জেলায় অনেক দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন রয়েছে তাদের রুজি রোজগারে বাধা দিয়ে, এছাড়াও বিভিন্ন ভিন রাজ্যের চিকিৎসা করাতে যাওয়া, বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে যাওয়া, নিত্যযাত্রীদের কর্মস্থানে যাওয়া বন্ধ করে আন্দোলন করা কি শ্রেয়।
আদিবাসীদের বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়ল পুরুলিয়ায়
RELATED ARTICLES