অশ্লীল ভিডিও ভাইরালের জন্য গ্রেফতার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের ভাইপো
কুকীর্তির জন্য গ্রেফতার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের ভাইপো।আর এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন প্রেমিকার সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে তোলা ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা এবং যেখানে মেয়েটির বিয়ে স্থির হয়েছিল সেখানে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করল দিলীপ ঘোষের ভাইপোকে। ধৃতের নাম অরিন্দম ঘোষ। অরিন্দমের বাবা হলেন ,দিলীপ বাবুর ছোট ভাই হীরক ঘোষ,যিনি আবার গোপীবল্লভপুর ২নং মণ্ডলের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি ছিলেন। রবিবার ধৃত অরবিন্দ ঘোষকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অরিন্দম ঘোষের সাথে একটি মেয়ের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের আলাপ। সেই আলাপ থেকে সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের দেখা সাক্ষাৎ হত। এরপর বিভিন্ন সময় ভিডিও কল করে ছেলটি নানা ছলনা করে বিভিন্ন শারীরিক ছবি রেকর্ড করে। মেয়েটি সেটি বুঝতে পারে এর পর মেয়টি তাদের ওই সম্পর্ক ভেঙে দেয়। সম্পর্ক ভাঙার পরেই সেই সব ছবি,ভিডিও সোস্যাল সাইটে আপলোড করার হুমকি দেয় এবং মেয়েটির যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেখানে সেগুলি পাঠিয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে।
যার ফলে অসম্মানের পাশাপাশি মেয়োটির অনেক গুলি বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর শনিবার মেয়েটি ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানায় অরবিন্দর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। এই বিষয়ে বিজেপির গোপীবল্লভপুর দুই মন্ডল সভাপতি তাপস সুঁই বলেন
” ছেলেটি একটু বদমাইশ প্রকৃতির। মেয়ে ঘটিত ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে । এর সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই।ছেলেটির বাবা হিরক ঘোষ দলের কোন পদে নেই। ” তবে এ বিষয়ে দিলীপ বাবুর ছোট ভাই হিরক ঘোষকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ ছিল।
গোপীবল্লভপুর দুই ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন ” বিজেপি দলটাই এরকম। এরা মেয়েদের সম্মান করতে পারে না,।তাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি করে। আজ ছেলেটি যে ভাবে ভাইরাল করেছে ছবি গুলি সেই জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। নয়তো আগামী প্রজন্ম বিপথে যাবে। মেয়েদের সম্মান বলে কিছু থাকবে না। ” ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যান সরকার বলেন ” ছেলেটি ভিডিও কলের মাধ্যমে মেয়েটির ছবি গুলি রেকর্ড করে তা ভাইরাল করে এবং মেয়েটির যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই সব জায়গায় পাঠায়। বিয়ে করতেও সে অস্নীকার করছিল। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে। “