পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার পঞ্চম দিনেও বাদ রইল না অশান্তি। আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। অভিযোগ, ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্যালয়ের অদূরে চলে লাগাতার বোমাবাজি। এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। মঙ্গলবার সকালে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার। বোমাবাজির জেরে বাধ্য হয়ে পিছু হঠল পুলিশ। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী-সহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
মঙ্গলবার নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। আইএসএফের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। বিজয়গঞ্জ বাজার, কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলেই অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব এই কাজ করেছে বলেই দাবি তাঁদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলা আটকানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির।
যদিও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পালটা দাবি, আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরাই এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। তৃণমূল কর্মীদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ মোল্লার নেতৃত্বে এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি শওকত মোল্লার।
এদিকে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম হয়েছেন কাশীপুর থানার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।