পর্যটকদের জন্য সুখবর! সেজে উঠছে দিঘা। সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতে চান অনেকেই। এবার ‘সেলফি প্রেমী’-দের জন্য দুর্দান্ত খবর। দিঘাতে তৈরি হচ্ছে সেলফি জোন। দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস কুমার মণ্ডল এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘দিঘার আকর্ষণ আরও বাড়তে তৈরি করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সেলফি জোন। এছাড়াও একটি সুসজ্জিত গাছ প্রতিস্থাপণ করা হবে। যেখানে ফলের আকারে ২৯টি সরকারি প্রকল্প প্রদর্শিত হবে।’ সেলফি জোনে দেখা যাবে ‘ছোটা ভিম’-কেও। এই বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে দিঘার সৌন্দর্যায়নে। এছাড়াও বসানো হচ্ছে একটি লাল হৃদয়। আলোর কারুকার্য থাকবে সেলফি জোনে, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের তাণ্ডব ‘ক্ষত’ করে গিয়েছিল দিঘাতেও। ইয়াশের পর দিঘা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পর্যটন কেন্দ্রের বেহাল দশা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে দিঘাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে, প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। এরপরে দিঘার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য বাড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সৈকত সরণি বাঁধিয়ে, সৈকতে ত্রিফলা আলো লাগিয়ে, বিশ্ব বাংলা গেট করে সাজিয়ে তোলা হয় দিঘাকে।
এদিকে দিঘার সৌন্দর্য্য রক্ষা করতে ঘোড়া চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘোড়ার বিষ্ঠায় বাড়ছে দূষণ এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া বয়েছে। ঘোড়া চালানো নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে মানস কুমার মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দিঘার সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মানুষজন আসেন। বিভিন্ন সময় দেখা যায় ঘোড়ারা সমুদ্র সৈকতে নামে। তাদের বিষ্ঠা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। দেখা যায় তাদের বিষ্ঠা সমুদ্রের জলে মিশছে। ফলে জল দূষিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন রাস্তায় অনেক সময় ঘোড়ার বিষ্ঠা পড়ে থাকে। যা পর্যটকদের পায়ে লাগে। এর থেকে তাঁদের ক্ষতি হতে পারে। সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন রাস্তার টাইলসগুলি ঘোড়ার খুরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় ভিড়ে ঘোড়া ছুটে আসতে দেখলে ভয় পান পর্যটকরা। এই বিষয়ে পর্যটকদের থেকেও অভিযোগ পেয়েছি আমরা। সেই কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিঘা পর্যটন কেন্দ্রে ঘোড়ার ব্যবসা করা যাবে না।’ এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন ঘোড়ার চালকরা।