মুখ্যমন্ত্রী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালি পাথর পাচার রোধ করতে হবে। সেই মতো আসরে নেমেছে পুলিশ এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার পাথর পাচার আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ৫ পুলিশকর্মী, বানারহাট থানার অন্তর্গত ডায়না নদী এলাকার ঘটনা। এবার ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত ডায়না নদী থেকে পাথর পাচার করা হচ্ছিলো বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। বানারহাট থানার পুলিশ আধিকারিকরা ধূমপাড়া এলাকাতে যান অভিযান চালাতে। পুলিশ কর্মীরা গিয়ে দেখতে পান ডায়না নদী থেকে পাথর তুলে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে তড়িঘড়ি সেই ট্রাক্টর গুলিকে আটক করে বানারহাট থানার পুলিশ আধিকারিকরা।আটক করেন ট্রাক্টর চালক কে। এরপর ওই এলাকার কিছু মানুষ যারা পাথর ব্যাবসার সাথে যুক্ত তারা পুলিশের হাত থেকে ট্রাক্টর চালক কে ছিনিয়ে নেয়। এমনকি রাস্তার ওপরে সমস্ত পাথর ফেলে দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় এলাকাতে। যাতে পুলিশ এলাকা থেকে সে পাচারকারীকে বের করে নিয়ে আসতে না পারে। এরপরে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে বানারহাট থানার আইসি কে গোটা ঘটনা জানান। এরপর আরো পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় এলাকায়। এদিকে আক্রান্ত পুলিশকর্মী দের ধুমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এরপর সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসেন দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে।
উল্লেখ্য এর আগেও বানারহাট থানার অন্তর্গত চামুর্চি এলাকায় নদীতে বালি পাথর পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন পুলিশ, বি এল আর ও, এমনকি ধুপগুড়ির বিডিও আক্রান্ত হয়েছিলেন বালি পাচার কারি দের হাতে।
এদিকে পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত টেলিফোনে জানান এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পাথর পাচারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,দুটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।