মেয়ের অবৈধ চাকরির অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে সিবিআই জেরার মুখে বাবা, মন্ত্রি পরেশ অধিকারী।।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি প্রসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ আশায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে জেরা করার নির্দেশ উচ্চ আদালতের। এ প্রসঙ্গে অঙ্কিতা অধিকারী জানান, “আমাকে এই বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না আমি কিছু বলতে পারব না।” প্রসঙ্গত, এসএসসি চেয়ারম্যান যে তথ্য দেন তাতে তিনি জানান, অঙ্কিতা অধিকারী রাস্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে ৩১/৮/২০১৮, ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুল মেখলিগঞ্জ নিয়োগ সুপারিশ করে, বর্তমানে তিনি সেই বিদ্যালযয়ে কার্যরত। অঙ্কিতা মোট নম্বর পায় ৬১, ৩১ অ্যাকাডেমিক, ৩০ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। বিচারপতি তার পর জানতে চান, মামলাকারী প্রাপ্ত নম্বর কত? চেয়ারম্যান জানান, মামলাকারী ববিতা সরকারের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৭৭, এসএসসি প্যানেল ২১। এর মধ্যে ৩৩ অ্যাাডেমিক, ৩৬ বিষয় ও ৮ নম্বর ইন্টারভিউয়ে।
অঙ্কিতার চাকরি নিয়ে সেই সময়ে ব্যাপক আন্দোলনের ঝড় উঠে। সেই সময় তার এই চাকরিতে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। কোচবিহার জেলা সিপিএম সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, পরেশ অধিকারী সেই সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন যার প্রথম শর্ত ছিল মেয়ের চাকরি। আর দ্বিতীয় শর্ত ছিল সংসদ নির্বাচনের টিকিট। এই চাকরি যে তার কাল হয়ে দাঁড়াবে তা কি সে জানতো? এভাবেই এক এক করে তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস হবে। কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, পক্ষপাতিত্ব এবং পরিবার তন্ত্র সাধারণ মানুষের কোন জায়গা নেই বর্তমান শাসক দলের কাছে। নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়ার খাসারত এবার বুঝতে পারবে। আমরা আইনের উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখি। অবশ্যই আইন যোগ্য বিচার করবে। অপরদিকে এই বিষয়ে মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী, জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় কে ফোন করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন আইনের রাস্তায় চলবে।
বলা বাহুল্য, মঙ্গলবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মেখলিগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী, পার্থ প্রতিম রায়, সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তারপরও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সিবিআই জেলা প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।