নিজস্ব সংবাদদাতা: চাকরিতে স্থায়ীকরণ, কর্মীদের ইপিএফ চালু করা সহ বেশকিছু দাবিতে কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ নং ব্লকের বামনহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেপুটেশন দিল ওয়েস্টবেঙ্গল বুধবার এনএইচএম এর সদস্য-সদস্যরা। এদিন বিএমওএইচ কেশব চন্দ্র রায়ের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয়। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোচবিহার জেলার সভাপতি সুচিতা দেব রায়, দীপঙ্কর বর্মন, বিউটি অধিকারী বর্মন।
তারা জানান, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এর অধীনে কর্মরত কর্মীবৃন্দ বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত পরিষেবা দিয়ে আসছেন অতি মারি করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে তারাও প্রায় সকল মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছেন কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা এমনটাই জানান কর্মীবৃন্দ। তাই তাদের চার দফা দাবি বিএমওএইচ মারফত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর জন্য ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের সদস্যরা আশাবাদী তাদের এই দাবির সুষ্ঠ সমাধান হবে।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের কোচবিহার জেলার সভাপতির সুচিতা দেব রায় বলেন, করোনা মহামারীতে প্রতিটি সময় মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ করেছি। তবে এখন আমরা বেশ কিছু বঞ্চনার শিকার হচ্ছি। চার দফা দাবিতে আজ বিএমওএইচ কে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হল। আমরা আশা রাখছি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জানা গেছে এদিন শুধু এই ব্লকেই নয় এদিন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ব্লকে এই ডেপুটেশন কর্মসূচি চলে।
চার দফা দাবিতে বামনহাট এর বিএমওএইচ কে ডেপুটেশন দিল NHM কর্মীরা
আরও খবর পড়ুন……👇
গীতালদহে প্রধানের স্বামী এবং ছেলের মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে কিছু মানুষ দাবি করলেন সিতাই এর বিধায়ক।
নিজস্ব সংবাদদাতা: গীতালদহে প্রধানের স্বামী এবং ছেলের মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে কিছু মানুষ এমনটাই দাবি করলেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। উল্লেখ্য বুধবার সকালে ট্রেন লাইনে আত্মঘাতী হয় গীতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বীথিকা বর্মনের স্বামী প্রদীপ বর্মন এবং ছেলে চন্দ্রশেখর বর্মন। তবে মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর আশঙ্কা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন থেকেই জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তরে।
Read More –আসাম-বাংলা সীমান্ত পরিদর্শনে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার
এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পন্থী সিতাই এর বিধায়ক অনাস্থা এনে পার্থপ্রতিম রায় অনুগামী বলে পরিচিত বীথিকা বর্মন কে সরিয়ে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান করা হয়। শুধু তাই নয় এরপর থেকে প্রধানের বাড়িতে টাকার জন্য চাপ এবং লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেন মৃত প্রদীপ বর্মন এর ভাই। প্রাক্তন জেলা সভাপতি ঘনিষ্ঠ সিতাই এর বিধায়ক এর বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি হয়, তবে এ প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন সব মৃত্যু ই দুঃখের। তবে কিছুলোক এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।