রাজনীতিতে শাসক বিরোধী দলের তরজা আকছার দেখা যায়। তাদের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা, তর্ক সবকিছুরই সাক্ষী সাধারণ মানুষ। কিন্তু ক্রিকেটে নিয়াময় সংস্থার সঙ্গে অধিনায়কের এরকম ঝামেলার সঙ্গে খুব একটা সড়গড় নয় সমর্থকরা। একে অপরের দিকে আঙুল তোলার পর্ব এখনও চলছে। যেখানে ‘বিশেষ’ ভূমিকা নিচ্ছেন নেটিজেনরা।
অধিনায়কত্ব নিয়ে বিরাট কোহলির সাংবাদিক বৈঠকের পরে সৌরভ ও BCCI-কে একেরপর এক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। পদত্যাগের দাবি থেকে শুরু করে সৌরভকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। কে সত্যি, কে মিথ্যা তা জানার অবকাশ নেই। শুধু দুপক্ষের সাংবাদিক বৈঠক দেখেই বিচারসভা বসানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতদিন যেই বিচারসভায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা হচ্ছিল, সেখান থেকেই সৌরভের পাশে দাঁড়িয়ে শুরু হয়েছিল প্রচার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল হ্যাশট্যাগ। যেখানে লেখা #NationStandsWithDada। অর্থাৎ দেশ দাদার পাশে আছে।
টুইটারে ক্রমেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে হ্যাশট্যাগটি। হাজার হাজার টুইট হয়েছে এই বিষয়ে। এই বিষয়ে যারা পোস্ট করছেন তাঁরা বেশিরভাগই সৌরভের সমর্থক। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটকে কী দিয়েছেন। ধুঁকতে বসা একটা দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি সেটাকে শক্তিশালী করেছেন। অনেকে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি, ২০০৩ বিশ্বকাপের কথা মনে করান। কেউ কেউ বলেন, বিরাটের অধিনায়কত্ব যাওয়ায় তাঁর সমর্থকরা বদলা নিতে দাদার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব বলছে।
অধিনায়কত্ব থেকে কোহলিকে সরানো নিয়ে সৌরভ বলেছিলেন, তিনি কোহলিকে টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়তে বারণ করেছিলেন, কিন্তু কোহলি তা করেননি। এরপর বোর্ডের পক্ষ থেকে সাদা বলের জন্য একটাই অধিনায়ক রাখা হয়। বিরাট সাংবাদিক বৈঠকে বলেন পুরো উল্টো কথা, তিনি জানান, তাঁকে কেউ বারণ করেনি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল সবাই। এরপরেই আগুন জ্বলে ওঠে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে। বিরাটের কথা শুনে রে রে করে ওঠেন তাঁর সমর্থকরা। এরপর সৌরভের সমর্থকরা পাল্টা দিতে থাকে।
যদিও বিরাটের বক্তব্যের পর সৌরভ নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলেননি। তিনি বোর্ডের উপর বিষয়টা ঠেলে দিয়ে বলেন, ‘এটা স্পর্শকাতর বিষয়। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা বোর্ড সময় হলেই নেবে।’ সূত্রের খবর, বিরাট ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বোর্ড কর্তারা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তবে জল যে অনেক দূর গড়াবে তা বলাই যায়।