হাঁসখালির পর এবার গণধর্ষণের অভিযোগ নামখানায়। মহিলাকে গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে চাঞ্চল্য নামখানার দ্বিতীয় ঘেরি এলাকায়। নির্যাতিতা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নামখানা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিস।
পুলিস জানায়, গত শুক্রবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। ভোর ৪ টা নাগাদ তিনি শৌচাগারে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। অভিযোগ, সেই সময় জনাকয়েক যুবক এসে মহিলার মুখ চেপে ধরে। মহিলাকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে যায় তারা। বেঁধে ফেলে পাঁচজন মিলে মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পারেন মহিলা।
এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে থাকা কেরোসিন তেল মহিলার গায়ে ছিটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। এমনকি তার গোপনাঙ্গেও কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়। বাঁচার জন্য চিৎকার করলে মহিলার এক প্রতিবেশী তথা আত্মীয় বেরিয়ে আসেন। তাকে দেখেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। লজ্জায় ও ভয়ে মহিলা পুরো বিষয়টি প্রথমে চেপে যান। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নামখানা ব্লক হাসপাতালে। রবিবার সকালে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। নামখানা থানার পুলিস ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।