কোচবিহারঃ
জন্মাষ্টমীর নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর প্রীতি কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন বাড়িতে এক অভিনব খেলায় অংশগ্রহণ করেন মন্দিরের পূজারীরা। এই খেলাটা নাম দধি কাঁদো। মন্দিরের সামনে গর্ত খুঁড়ে কাদা তৈরি করা হয়, পাঁচ রকমের ফল থাকে এই খেলায়। যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে কেউ একজন এই ফল কাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। বাকিরা জোর করে সেই ফল খুঁজে বার করার চেষ্টা করে। কাদায় হয় লুটোপুটি। অভিনব এই খেলা আজ আমল থেকে চলে আসছে। দেবত্র ট্রান্সপোর্টের বড়বাবু জয়ন্ত চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরের মতো নিয়ম-নীতি মেনে এই বছরও খেলা হচ্ছে। খেলা শেষে সকল অংশগ্রহণকারী দেখাতে দই-চিড়া বুন্দিয়া তুলে দেওয়া হবে। এটাই খেলার নিয়ম। কোচবিহারের ঐতিহ্য বৈচিত্র্যপূর্ণ তা আরও একবার এই খেলার মাধ্যমে মানুষের সামনে প্রকাশ পায়।
রাজবংশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজবংশী ভাষার ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকারের দাবিতে ডেপুটেশন
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে কোচবিহার জেলায় 200 রাজবংশী ভাষার পঠন পাঠন কে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যালয় খুলতে চলেছে, আর সেখানেই রাজবংশী ভাষার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাধান্য দেওয়ার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা শাসক দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন রাজবংশী ভাষার ছাত্রছাত্রীরা। তাদের দাবি বর্তমানে প্রায় 800 শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে এই 200 টি বিদ্যালয় এ সেইখানেই যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজবংশী ভাষার শিক্ষা গ্রহণ করছেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে রাহুল দেব বর্মন বলেন, রাজবংশী ভাষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাষা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ভাষার স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি সম্মান প্রদান করেছেন। যে বিদ্যালয়গুলিতে এই ভাষার পঠন-পাঠন হবে সেখানে রাজবংশী ছাত্র-ছাত্রীদের অগ্রাধিকার শিক্ষকতা ক্ষেত্রে দেওয়া র দাবি জানানো হচ্ছে। কোচবিহার জেলা শাসকের মারফত এই দাবি পত্র মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছনোর আবেদন করেছেন তারা।