“সবকিছুর মধ্যেও কিছু নেই”, শহীদ বিপুল রায়ের মৃত্যুর প্রথম বর্ষে বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে একথা বললেন রুম্পা রায়।
আলিপুরদুয়ারের বীর শহীদ বিপুল রায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হল। তবে করোনা আবহে অল্প সংখ্যক লোক নিয়েই এই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
গতবছর লাদাখ এর গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈনিকদের অতর্কিত আক্রমণে শহীদ হয়েছিলেন কুড়ি জন ভারতীয় বীর সন্তান। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ার বিপুল রায়। শেষবারের মতো গ্রামের ছেলেকে দেখতে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জমে ছিল গোটা বিন্দিপাড়া জুড়ে। মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন হল বুধবার। বাড়িতে আছেন বীর শহীদের স্ত্রী রুম্পা রায়, ছোট্ট ৬ বছরের শিশু কন্যা , বাবা মা এবং ভাই। বিপুল রায় চলে যাবার পর সম্পূর্ণ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবার। যদিও রাজ্য কেন্দ্র এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে অনেক সাহায্যই পেয়েছিলেন তারা কিন্তু ঘরের মানুষকে হারানোর বেদনার কাছে সবটাই মলিন।
এদিন বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। বীর শহীদ বিপুল কে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার উদ্যোগেই আলিপুরদুয়ার ডুয়ার্স কন্যা সম্মুখে ১৬ ফুট উচ্চতার একটি আপাদমস্তক মূর্তি তৈরি হয়েছে।
শহীদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গতকাল আলিপুরদুয়ারের বর্তমান বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সেই বাড়িতে উপস্থিত হন।
বিপুল রায়ের স্ত্রী রুম্পা রায় বলেন, এই জীবন ভীষণ কষ্টকর। সবকিছুর মধ্যেও কিছু নেই। তবে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে তাতে গর্ব হয়। মেয়েকে সেই শিক্ষা দেব ওর বাবা যেটা চেয়েছিল, বাবার স্বপ্ন পূরণ করার।