নজির সৃষ্টি করলেন শিলিগুড়ির রেফারি কণিকা বর্মন। বাংলার প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে তিনি জায়গা করে নিলেন এ এফ সি এলিট রেফারি প্যানেলে। যার ফলে আগামি দিনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলাতে আর কোনও বাঁধা রইল না তাঁর। আর এই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর উপরেই নির্ভর করবে বিশ্ব কাপ ম্যাচ পরিচালনা করার সম্ভাবনা। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বাঙালি রেফারি। কণিকা বলেছেন, “ভারত থেকে দুজন রেফারি এবং দুজন সহকারি রেফারি এই প্যানেলে জায়গা পেয়েছে। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। প্রথমে ভেবেছিলাম ফিফা রেফারি হ।এই হয়তো স্বপ্নপূরণ হবে। তারপর জেনেছিলাম বড় মাপের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলাতে গেলে এ এফ সি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হল। তবে দেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্ব কাপের প্যানেল আগেই তৈরি হয়ে যাওয়ায় খেলানো হবে না। তার জন্য মন খারাপ। তবে আমার পাখির চোখ ছেলেদের বিশ্ব কাপে ম্যাচ খেলানো।”
তবে এই স্বপ্ন পূরণে যেমন উচ্ছ্বাস আছে, তেমনই আছে চিন্তাও। অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছিল বলে সিভিক ভলান্টিয়রের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। আপাতত তাঁর কোনও চাকরি নেই। কণিকা ভীষণভাবে একটা চাকরি খুঁজছেন। বলছিলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে অনেকটা সময় ডিউটি করতে হত। আমার মেয়ে ছোট। পরিবার সামলে অনুশীলন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ছাড়তে হল। বেসরকারি চাকরি করলে ম্যাচ থাকলে হয়তো ছুটি পাব না। তাই এই মুহুর্তে ভাল বেতনের সরকারি চাকরি খুব প্রয়োজন। না হলে দুশ্চিন্তা কাটছে না।”