“সায়দ ফির ইস জনম মে মুলাকাত হো না হো…।” রবিবার না ফেরার দেশে হারিয়ে গিয়েছেন ‘মেলোডি কুইন’ লতা মঙ্গেশকর। ইতিমধ্যেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শিবাজী পার্কে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। ফিরে আসছে নাইটিঙ্গেলের অতীত কথন। “পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন?” জাভেদ আখতার সঞ্চালিত এক সাক্ষাৎকারে এমনই এক প্রশ্ন করা হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেসে সুর সম্রাজ্ঞী বলেছিলেন, “না হি জনম মিলে তো আচ্ছা হ্যায়…।” খানিক থেমে তাঁর সংযোজন, “…আউর অগর ওয়াকেয়ি জনম মিলা মুঝে তো ম্যায় লতা মঙ্গেশকর নহি বননা চাহুঙ্গি। লতা মঙ্গেশকর কি জো তকলিফে হ্যায়, ও উসকো হি পতা হ্যায়।” যার আক্ষরিক অর্থ, “আবার জন্ম না হলেই ভালো। আর যদি পুনর্জন্ম হয়, তাহলে লতা মঙ্গেশকর হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে চাই না। লতা মঙ্গেশকরের জীবনে কী সমস্যা রয়েছে তা সে নিজেই জানে।”
এদিন ভারতের কণ্ঠ লতা মঙ্গেশকরের জীবনাবসানের পর নেটদুনিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে কিংবদন্তীর এই সাক্ষাৎকারের অংশটি। এদিন সকাল সোয়া আটটা নাগাদ না ফেরার দেশে হারিয়ে যান কোকিলকণ্ঠী। তাঁর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্র শোকের আবহ তৈরি হয় দেশজুড়ে। আগামী দু’দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করে ভারত সরকার। সোমবার অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়। অর্ধনমিত রাখা হবে জাতীয় পতাকা। বঙ্গেও শোকের আবহ। আগামী ১৫ দিন রাজ্যে লতা মঙ্গেশকরের গান বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের টুইট, লতা জির প্রয়াণে আমার হৃদয় বিদীর্ণ। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মতো আমারও হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। নিজের বিপুল গানের সম্ভারে ভারতের আসল রূপ, আসল গন্ধ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর গানে নিজের আবেগকে জীবন্ত হয়ে দেখে। ভারতরত্ন লতা জি অতুলনীয় হয়ে থাকবেন।”