নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
সময়টা তখন ২০২০ সালের মে মাস, করোনা তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল দেশ তথা রাজ্য জুড়ে লকডাউনে কাজ , হঠাৎ করে কেমন যেন কালো মেঘ নেমে এলো জ্যোতির্ময়ী সাহার জীবনে। টিটাগর বিবেকনগরের এই মেয়েটির ইচ্ছে ছিল প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে B.tech করে বড় কোন কোম্পানিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ পাওয়া টিটাগর পৌরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিবেকনগর এর বাসিন্দা। মেয়টির দাদা এক বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করত, লকডাউন এর ফলে দাদার মাসিক মাইনে অর্ধেক করে দিয়েছে কতৃপক্ষ, ১০ বছর যাবত বন্ধ বাবার মুদি দোকান, এমত অবস্থায় সংসার কিভাবে চালাবে সেটা কোনভাবেই ভেবে উঠতে পারছিল না ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী জ্যোতির্ময়ী সাহা, এই দুঃসময়ে মাথায় এসেছিল একমাত্র মুদি দোকান বিক্রি করার কথা, হঠাৎ করে জ্যোতির্ময়ী সাহার মাথায় আসলো ফুচকা বিক্রি করার ভাবনা, এই ভাবনা নেওয়াতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকদের কাছে কটু কথাও শুনতে হয় সাহা পরিবারকে।
লকডাউনে কাজ বন্ধ ,ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী
অনান্য খবর- বিভিন্ন দাবি নিয়ে দিনহাটা কলেজের অধ্যক্ষকে ডেপুটেশন দিল ভারতের ছাত্র ফেডারেশন
মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা কি দায়িত্ব পেল, দেখুন
তৃণমূলের অঞ্চল ও বুথ কমিটির নেতৃত্বদের নিয়ে সভা দিনহাটা ১ ব্লকের মাতালহাটে
চিকিৎসক দিবস পালিত হল কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
সবার কথা উপেক্ষা করে টিটাগর পৌরসভার আইসিডিএস কর্মী মা সুশীলা সাহার অনুপ্রেরণায় দাদা দেবজ্যোতি সাহার সহযোগিতায় ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো এই অসময়ে তাদের বন্ধ থাকা দোকানে ফুচকা বিক্রি করবে, শুরু হলো ফুচকা বিক্রির কাজ ,দোকানের নামকরণ করল “ফুচকাওয়ালা”, খড়দহ স্টেশন রোডের ফুচকাওয়ালা এই দোকানে মুখরোচক ফুচকার টানে ভিড় জমাতে থাকেন এলাকার ছোট থেকে বড়, সব বয়সী মানুষেরা, করোনাকালে লকডাউন এর সময় সংসারের করুন পরিস্থিতি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়াশোনা বন্ধের সিদ্ধান্ত হার মানলো দাদা ও বোনের অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে, এই ফুচকা ওয়ালার দোকানে ফুচকা বিক্রি করেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান দাদা এবং বোন কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছানোর পর এই ফুচকা বিক্রির পেশা কখনোই মন থেকে ভুলতে পারবেন না ও একি রকম ভাবে চালিয়ে যাবে টিটাগর বিবেক নগরের দাদা ও ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী বোন।