আচমকাই ভেঙে পড়লো পুরনো বট গাছ। যার জেরে ক্ষতি হল বহু প্রাচীন ব্যায়ামাগারের ঘর। যদিও রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মানুষের কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে দিনের আলোতে এই ঘটনা ঘটলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ।
ময়নাগুড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাল বাবার মন্দির রয়েছে। সেখানেই রয়েছে একটি স্কুল এবং একটি ব্যায়ামাগার। রবিবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ সেখানে থাকা পুরনো এক বট গাছ আচমকা ভেঙে পড়ে যায়। যার ফলে ব্যায়ামাগারের ঘরটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। অন্যদিকে এই ঘটনার ফলে পার্শ্ববর্তী শিশুদের স্কুলটি জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ রাখা হয়। এদিকে আজ ঘটনার ফলে গাছটিকে সরানোর পাশাপাশি একটি বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় ব্যায়ামাগার পুনঃনির্মাণ সহ এলাকার উন্নয়ন। উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত দেব অধিকারী, ব্যায়ামাগার কর্তৃপক্ষ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের সদস্যরা। মূলত ১৯৩৮ সালে ওই ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ময়নাগুড়ি শহরের একটি গর্ব বলেও অভিহিত করেছেন। এই ঘটনায় ব্যায়ামাগার এর কক্ষের ক্ষতি হলেও রবিবার এবং রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা হওয়ায় মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। যদি এই ঘটনা দিনের বেলা হত তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো বলেই অনেকের ধারণা। এই প্রসঙ্গে তরুণ ব্যায়ামাগার এর পক্ষ থেকে সত্যজিৎ শর্মা বলেন, ” রবিবার এবং রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আমাদের ব্যায়ামাগার পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। সেই নিয়ে আমাদের একটি বৈঠক হল। যেখানে আমরা পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ এলাকার মানুষকে আমাদের এই ব্যায়ামাগার পুনঃনির্মাণের জন্য সাহায্যের দাবি জানিয়েছি।”