Monday, April 29, 2024
HomeBreaking newsমনোনয়ন ঘিরে ক্যানিংয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা! বিজেপিকে বাঁধার অভিযোগ

মনোনয়ন ঘিরে ক্যানিংয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা! বিজেপিকে বাঁধার অভিযোগ

নিজস্ব প্ৰতিনিধি,ক্যানিং – ভোট ঘোষনা হতেই ক্যানিংয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল প্রথম দিনেই।পরবর্তী দুদিন পুলিশের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছিল।চতুর্থ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিয়ে আবারও উত্তজনা ছড়ালো ক্যানিং এলাকায়।একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থককে লাঠি,বাঁশ,ইট ছুঁড়ে মারার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।ক্যানিং ১বিডিও অফিস চত্ত্বর রণক্ষেত্র চেহারা হয়।আহত হয়েছেন অসিত মন্ডল,সুব্রত পাল,দিলীপ বৈদ্য,রমেন বায়েন,প্রশান্ত বায়েন,অনিল মন্ডল,পম্পা মন্ডল,বিজয় অধিকারী,দীনেশ চন্দ্র সরদার,মনোজ সরকার,বিপ্লব মউল সহ শতাধিক পুরুষ মহিলা বিজেপি কর্মী সমর্থক।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দুপুরে ক্যানিং ১ বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য বিজেপির রাজ্য মুখপত্র সজল ঘোষ ও বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা টিব্রিয়ালের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য ক্যানিং ১ বিডিও অফিসে যায়।
অভিযোগ সেখানে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়।পরে তৃণমূল দূষ্কৃতিরা শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থদের কে বিডিও অফিস চত্বরে এবং বাইরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।আরও অভিযোগ বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি তাদের যাবতীয় কাগজপত্র,মোবাইল ফোন টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবী বিজেপি কর্মী সমর্থক।যদিও উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে পুলিশ লাঠি চার্জ করে জনতা কে হঠিয়ে দেয়।এবং বিজেপি কর্মী সমর্থদের কে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা টিব্রিয়াল জানিয়েছেন, ‘ আমরা কমিশনের বিধি মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথমে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পরে বিডিও অফিস চত্বরে তৃণমূলের কয়েক হাজার গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের কর্মীদের কে বেধড়ক মারধর করে।মহিলাদের বুকে পেটে লাথি মেরে মানহানি করেছে।মায়েদের কে শুধুমাত্র উলঙ্গ করতে বাকি রেখেছিল তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী।যা কিছুই ঘটেছে সমস্তটাই পুলিশের সামনেই হয়েছে। ১০/১২ জন কর্মীর মাথা ফেটেছে,হাত ভেঙেছে। এছাড়াও শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। গুন্ডারাজ চলছে সর্বত্র। গুন্ডারাজ চলুক। লোক দেখানো নির্বাচন করার কোন প্রয়োজন নেই।গুন্ডাদের চেয়ারে বসিয়ে দিক।আমরা বুধবার আদালতে যাবো।ক্যানিংয়ের আইসি,এসডিপিও,পুলিশ সুপার পুষ্পা কাউকে ছাড়বো না। গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা যদি জারী না করতে পারি আমার নাম প্রিয়াঙ্কা টিব্রিয়াল নয়।’
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য নেতা সঞ্জয় নায়েক জানিয়েছেন, ‘যেখানে নির্বাচন কমিশন ১৪৪ ধারা জারী করেছেন। এক কিলোমিটারের মধ্যে কোন জমায়েত করা যাবে না। সেখানে প্রতিদিনই ক্যানিং ১ বিডিও অফিসের সামনে এবং ভিতরে পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূলের কয়েক হাজার গুন্ডা প্রবেশ করলো কিভাবে?পুলিশ কি নাকে সরষে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে?পিসি ভাইপোর পোষা গুন্ডা বলেই কি ছাড়?বিডিও অফিসের মধ্যেই বিজেপি কর্মী সমর্কদের কে মারছে,আর পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ!এতোই যদি উন্নয়ন তাহলে এমন সন্ত্রাস কেন?আমরা নির্বাচন কমিশন কে ঘটনার কথা জানাবো। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটিও ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে না হয়। গণতন্ত্র মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন যাতে হয় সেই দাবীই জানাবো।’
অন্যদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্যানিং ১ বিডিও অফিসে রণক্ষেত্র চেহারা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা মন্তব্য করতে চাননি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments