ভুঁড়ি একবার হয়ে গেলে কমানো খুবই মুশকিল, চিকিৎসকরা এমনটাই বলে থাকেন। তাই ভুঁড়ির আভাস দেখলেই রাশ টানুন জীবনযাত্রায়। কারণ পেটের চর্বি গলানো খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। তবে জানেন কি ঘরোয়া কিছু পানীয় নিয়মিত পান করেই আপনি পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে পারেন মাত্র কয়েকদিনেই। পেটের মেদও একটি বড় সমস্যা। এর ফলে শুধু আপনার শরীর খারাপ এবং কুৎসিত দেখায় না, আপনার স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কিছু জিনিস আছে, যা জানা থাকলে মেদ কমবে নীরবে-নিভৃতে। ৬টি পানীয় দিয়েই ম্যাজিকের মতো কমিয়ে ফেলুন পেটের চর্বি।
- সবুজ চা অর্থাৎ গ্রিন টি
আপনাকে অবশ্যই দিনে দুবার গ্রিন টি খেতে হবে, একবার সকালে এবং একবার সন্ধ্যায় বা রাতে। এটি পান করলে শুধু আপনার পেট পরিষ্কার থাকে না, এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকেও ভালো রাখে। এতে উপস্থিত উপাদানগুলি আপনার পেটে জমে থাকা চর্বি কোষ থেকে চর্বি দূর করে। - মধু এবং দারুচিনি
দারুচিনি আপনার শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করে এবং ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী হয়। সকালে গরম জলে ১ চা চামচ মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ মিশিয়ে পান করুন, এতে শুধু আপনার ওজনই কমবে না মেদও কমবে। - আপেল সিডার সকালে খালি পেটে আপেল সিডার খান, এই ভিনিগার আপনার পেটে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আপনার ক্ষুধা কমায় এটি আপনাকে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। সকালে গরম জলে এক চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন, আপনি চাইলে এতে সামান্য লেবুও যোগ করতে পারেন।
-
ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তা! এই কাজগুলো করলেই মুশকিল আসান
- Saraswati Puja 2024: রাজ্যে সব থেকে বড় সরস্বতী পুজো এবার ধূপগুড়িতে
4 . আনারসের রস
আনারসের রস আপনার পেটের চর্বি কমাতেও খুব কার্যকরী প্রমাণিত হবে। আসলে এতে রয়েছে ব্রোমেলেন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম যা আপনার বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে এবং আপনার পেটের চর্বি দূর করে।
- পিপারমিন্ট জুস
পুদিনার রস হজমে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, পুদিনা বিশেষ করে আপনার পেটের মেদ রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। - সেলারি জুস সেলারি জুস আপনার পেটের জন্যও খুব ভাল, এটি আপনার পেটের চর্বি কমায়। আপনি যদি এটি প্রতিদিন খান তাহলে আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।
পাশাপাশি, কার্বোহাইড্রেট বাদ দিন- সম্পূর্ণ খোসা ছাড়ানো, পরিশুদ্ধ কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। এগুলির মধ্যে ভাত, ময়দা, চিনি পড়ছে। তার বদলে, খোসা সহ কার্বোহাইড্রেট খান। যেমন খোসাসহ ডাল, আটার রুটি, ওটস, অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদি। এই ধরণের খাবারে ফাইবার বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালোরি কম। ফলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হবে না। প্রচুর ফল ও শাক সবজি খান- গোটা ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। জুস খাবেন না। প্রতিটি মিলেই কোনও না কোনও শাক-সবজি রাখুন। যেমন ঝিঙে, পটল, বরবটি, চিচিঙ্গে, বাঁধাকপি- যে কোনও সাধারণ সবজিরই যেন কোনও পদ রান্না হয়।
ত্যাগ করুন প্যাকেটজাত খাবার, তেলে ভাজা যে কোনও জিনিস, মিষ্টি সম্পূর্ণ বাদ দিন। প্রোটিন বেশি খান- ওজন কমাতে খাওয়াদাওয়া একেবারে ছেড়ে দেবেন না যেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাবেন। খাদ্যতালিকায় ডিম, দুধ, পনির, ডাল, চিকেন, মাছ ইত্যাদি যেন অবশ্যই থাকে।
ব্যায়াম- ওজন কমাতে একটু শারীরিক কসরত করতেই পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি- ব্যায়াম করার কিন্তু অনেক সুফল রয়েছে। ব্যায়াম বলতে খালি পেটের ব্যায়াম করলে কিন্তু চলবে না। শরীরে কখনও নির্দিষ্ট স্থানের মেদ আলাদা করে কমানো যায় না। কমলে সারা শরীরের একসঙ্গেই কমে। তাই দৌড়, স্কিপিং, ওজন নিয়ে ব্যায়াম, সাঁতার, ইত্যাদি ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। সারা শরীরের ফিটনেস বাড়তে শুরু করলে এমনিতেই ভুঁড়ি কমবে।।