Thursday, May 2, 2024
Homeকোচবিহারভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার করল মাথাভাঙ্গা...

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার করল মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাথাভাঙাঃ দু’মাসের ব্যাবধানে ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা বিপুল সংখ্যক গরু উদ্ধার করল মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে মাথাভাঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বালারহাট এলাকায় গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ টি গরু উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিলো চোরাকারবারীরা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে এক ফসলি জমির উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার ফলে চাষের ক্ষতি হচ্ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু বাড়ি থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা ২৯টি গরু উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকায় তাদের বাড়িতেই মজুত রাখা ছিল গরু কোন বাড়িতেই পুরুষ মানুষ ছিলেন না। এমনকি বেশকিছু বাড়িতে কোন ধরনের মানুষ ছিল না। তাছাড়া বেশ কয়েকটি বারি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। গরুউদ্বার এর সময় উল্লেখযোগ্য ভাবে লক্ষ্য করা যায়, বেশকিছু গরু শোবার ঘরে, রান্নাঘরে, এমনকি গরু গুলো যাতে চিৎকার করতে না পারে তার জন্য মুখ বেঁধে রাখা হয়। এমনটাই দৃশ্য দেখা গেছে অভিযানের সময়। আজকের এই অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন,মাথাভাঙা মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান, প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকমাস আগে মেখলিগঞ্জ থানার অন্তর্গত উচল পুকুরী এলাকায় অবৈধ ভাবে মজুদ করা গরু উদ্ধার করতে গিয়ে পাচারকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে।
সেই কথা মাথায় রেখেই আজ পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা মজুদ গরু উদ্ধার অভিযানের পুলিশি নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো।উল্লেখ্য দুই মাসে আগেও বালারহাট এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৯ টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ
অভিযান শেষে মাথাভাঙা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে এদিন বালারহাট এ অভিযান চালানো হয়, এবং সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা কাগজপত্রহীন গরু উদ্ধার করা হয়।এবং সেই গরু গুলোকে স্থানীয় খোঁয়াড়ে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় যে বাড়িগুলোতে পাচারের উদ্দেশ্যে গরু গুলো জড়ো করে রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল।.

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments