বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কিংবা আইএসএফ এর সঙ্গে জোট এর ফলে শুরু থেকেই ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অনেকেই এই জোট কে ঠিকভাবে নেননি, এমনকি সাধারণ মানুষ তাদের উপর ভরসা রাখতে পারেনি বলে বুঝতে পেরেছেন বামপন্থীরা। তাই বামফ্রন্টে থাকলেও জোট বা কোন প্রকার মোর্চায় থাকতে রাজি নন ফরওয়ার্ড ব্লক।
শনিবার সাংবাদিক সম্মলেন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্টির রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বামফ্রন্টই আসল। বামফ্রন্টই আগামীদিনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। সেটা নির্বাচন হোক কিংবা গণ আন্দোলন। ফ্রন্টই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।’ তাঁর সঙ্গে আরও সংযোজন, ‘কোনও মোর্চা বা জোটে নেই।’ তবে কি সংযুক্ত মোর্চায় আর থাকবে না এই শরিক দল? কী জানালেন নরেন চট্টোপাধ্যায়।
শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় কার্যত ক্ষোভের সুরেই বলেন, ‘ISF কিংবা অন্য কেউ এসে ছড়ি ঘোরাবে এটা দিনের পর দিন চলতে পারে না। মানুষ আমাদের প্রতি এই কারণেই বিশ্বাস হারিয়েছে। আমরা বিমান বসুর কাছে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম।’ সূত্রের খবর, সম্প্রতি পর্যালোচনা বৈঠকে আলিমুদ্দিনে সরাসরি ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে প্রশ্ন করে হয়, বামফ্রন্ট রাখতে চান কিনা। উত্তরে বিমান বসু জানিয়েছেন, বামফ্রন্টই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। আর তাই এদিন স্পষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয় ফরওয়ার্ড ব্লক। পার্টির বক্তব্য, ‘কোনও মোর্চা বা জোট নয়। বামফ্রন্টই আসল। বাকি সব জোট নকল। বামফ্রন্টই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। বিমানদাও এই মর্মে সম্মতি দিয়েছেন।’ ফলে কার্যত ফোঁস করেও ঢোক গিলল ফরওয়ার্ড ব্লক। উপনির্বাচনে কি তবে সংযুক্ত মোর্চা অর্থাৎ বাম-কং এবং ISF জোট আর একত্রে লড়বে না? খানিকটা এড়িয়ে নরেন চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, ‘পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তখন দেখা যাবে। কিন্তু, বামফ্রন্টই মুখ্য ভূমিকা নেবে।’ অর্থাৎ ফ্রন্টকেই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চাইছেন তাঁরা।