Friday, May 3, 2024
HomeUncategorizedদুর্গাপুরে সাংবাদিকদের শ্লীলতাহানির কেস দেওয়ার হুমকি তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের শ্লীলতাহানির কেস দেওয়ার হুমকি তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের শ্লীলতাহানির কেস দেওয়ার হুমকি। জনবহুল এলাকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট। অভিযোগ, দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রুমা পাড়িয়ালের বিরুদ্ধে। নিজের স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় তিনি আক্রমণ করেন সাংবাদিকদের। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীদের দিয়ে দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের সমস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। সংবাদমাধ্যমের খবরের পরে দুর্গাপুরের IOC-র LPG বটলিং প্লান্টে সোমবার থেকে নতুন ট্রাক ঢুকতে শুরু করে। এর আগেই দুর্গাপুরের LPG বটলিং প্লান্টে পরিবহণ সংস্থাগুলির উদ্দেশে নোটিশ জারি করেছিল IOC। তাতে জানানো হয়েছিল, ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নতুন ট্রাকগুলি বটলিং প্লান্টে ঢোকাতে হবে। সোমবার থেকে পুরনো ট্রাকে আর গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা যাবেনা।

নতুন ট্রাক প্লান্টে ঢোকার অনুমতি পাওয়ার পরেই “দিদিগিরি” দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কাউন্সিলর রুমা পাড়িয়াল। তিনি ব্যবসায়ীদের বলেন, তোলাবাজির টাকা না দিলে নতুন ট্রাক ঢুকতে দেওয়া যাবেনা। এই পুরো ঘটনা সংবাদমাধ্যমে জানান এক ব্যাবসায়ী। সেখানেই শুরু হয় গন্ডগোল। ব্যাবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা শুরু করেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি একথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তৃণমূল কাউন্সিলর রুমা পাড়িয়াল। নিজস্ব চিত্র।

এরপর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা রুমা পারিয়ালকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি আক্রমণ করতে শুরু করেন সাংবাদিকদের। অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ব্ল্যাকমেলের টাকায় পকেট ভরায় সাংবাদিকরা। তৃণমূল কাউন্সিলরের এই মন্তব্যের পরই প্রতিবাদে মুখর হন সাংবাদিকরা। প্রতিবাদ করার জন্য দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সমস্ত সাংবাদিক জমা হন সেখানে। কিন্তু ওই তৃণমূল কাউন্সিলর তাঁর মন্তব্য থেকে বিরত থাকেননি।

বাধ্য হয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান সাংবাদিকরা। মেয়র ডেকে পাঠান রুমা পারিয়ালকে। কিন্তু সেখানেও তিনি অবিচল থাকেন। এমনকি মেয়রের ঘরে বসেও তিনি সাংবাদিকদের নানান অপমানজনক মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের হুমকি দেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখুনি শ্লীলতাহানির কেস দিতে পারি’। এখানেই শেষ নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউন্সিলর তাঁর অনুগামীদের দিয়ে দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের সমস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট ছড়িয়ে দেন। এরপর দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সমস্ত সাংবাদিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এবং দুর্গাপুরের প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments