নিজস্ব সংবাদদাতা:
টানা ৯ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে আসাম এবং বাংলা পরিবহন ব্যবস্থাকে সুচারু করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার নয়া চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়ের হাত ধরে জোড়াই ডিপোর উদ্বোধন হল। আজ বেলা ৩ টা নাগাদ কোচবিহার জেলার শেষ প্রান্তে ও আলিপুরদুয়ার অসাম বাংলা সীমান্তঘেঁষা জোড়াই ডিপোর শুভ সূচনা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পার্থ প্রতিম রায়, কোচবিহার জেলা পরিষদ সভাপতি উমাকান্ত বর্মন, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
এদিন, বাস ডিপো উদ্বোধনের পাশাপাশি বাস রুটের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও এদিন ফিতে কেতে নতুন বাস ডিপোর উদ্বোধন হয় এবং বাস চলাচল শুরু করে। বাস ডিপোটি চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কোচবিহার জেলাপরিষদ ও রামপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত তহবিল থেকে মাটি ফেলে জায়গাটি উন্নয়ন করা হয়। এছাড়াও আজ থেকে দিনে ১৯ টি রুটআপ ১৮টি রুটডাউনে ৯ টি বাস পরিসেবা চালু হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখান থেকে কোচবিহার হেরিটেজ রোড যেটি কোচবিহার থেকে কালজানি-নাটাবারি-ধলপল-কামাখ্যাগুড়ি হয়ে যেটি জোরাই ডিপোতে আসবে, এই পরিষেবা খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কোচবিহার এবং আসাম যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিবহন ব্যবস্থা সহ বাণিজ্যিক ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে এই বাস ডিপো থেকে বাস চলাচল চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পার্থপ্রতিম।
স্থানিয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজ থেকে তুফানগঞ্জ জোরাই ডিপো চালু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। এখান থেকে বাসে করে সব জায়গায় যেতে পারব।’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ প্রতিম রায়কে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান করে। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ডিপো চালু করতে উদ্যোগী হন। তার মধ্যে ছিল এই জোরাই এলাকার ডিপোটি। এর আগেও একাধিকবার এই ডিপো চালু করার জন্য সমস্থ্য দিক খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন তিনি এবং ডিপোর আধিকারিকের সাথেও আলোচনাও করেছিলেন।
তাই অবশেষে জোড়াই ডিপো নতুন করে চালু হওয়ায় অত্যন্ত খুশি স্থানীয় মানুষজন।