নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল দিনহাটা ২নং ব্লক এর গোবরা ছাড়া নয়ারহাট অঞ্চল। রবিবার রাতে এলাকায় জনসংযোগ করতে যাওয়ার কথা ছিল এলাকার বিধায়ক উদয়ন গুহর। তিনি পৌঁছেছিলেন এলাকায়। কিন্তু অভিযোগ, এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি বিভিন্ন দোকানে দোকানে যান। পাশে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকা কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, তিনি এলাকায় আসলে পরেও দলীয় কার্যালয়ে যাননি। তার কথা শোনার জন্য এবং তার সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একত্রিত হয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে সমস্ত কর্মীসমর্থকরা আজ একত্রিত হয়েছিল।
বিধায়ক দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে আছেন জেনে তারা বাইরে তার সাথে দেখা করতে গেলে, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে কর্মরত কর্মীদের সাথে তিনি দেখা না করে গাড়ি নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কর্মীরা। কর্মীদের একাংশ প্রকাশ্যে অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে বিধায়ক ঘোরাফেরা করছে। এই বিজেপি কর্মীরা সাংসদ নিশীথ প্রামানিক আশ্রিত। সুতরাং বিষয়টি অবিলম্বে দলীয় সুরক্ষার স্বার্থে উর্দ্ধতন নেতৃত্বেরও দেখা উচিত। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী পুনরায় উদয়ন গুহ কে দিনহাটার প্রার্থীপদ না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কর্মীদের কথায়, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে এই বিষয়ে গুরুত্ব না দেয় তাহলে ২০২১ এর বিধানসভা ফলাফল আশাজনক নাও হতে পারে।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল দিনহাটার নয়ারহাট, অভিযোগ বিধায়কের উদয়ন গুহ’র দিকে
দীর্ঘদিন থেকেই দিনহাটা ২নং ব্লক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব বিরাট আকার ধারণ করেছে। জানুয়ারির শেষের দিকে এলাকায় গণসংযোগ কর্মসূচিতে যোগদান করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর মুখো মুখি হতে হয় বিধায়ক কে। তিনি যে এলাকায় আসেন না তা নিয়েও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই এলাকার প্রধান মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেছেন, বিধায়ক এলাকায় আসলে পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। নিজের ইচ্ছে মত গুটিকয়েক লোক নিয়ে ঘুরে বেড়ান। জনসংযোগের লক্ষ্য সামনে নিয়ে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন বিধায়ক, এমনটা অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে।
অনান্য খবর- মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা কি দায়িত্ব পেল, দেখুন
এমনকি সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমতাবস্তায় ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ কি মানসিকতা পোষণ করবেন তা সময়ের অপেক্ষা। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই কর্মীদের বিক্ষোভ এর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি ২৭ নং মন্ডলের সভাপতির গজেন বর্মন বলেন, গতকাল বিধায়কের সঙ্গে কোন বিজেপি কর্মী ছিল না। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। তৃণমূলের পায়ের মাটি সরে গেছে তাই নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল কে বিজেপির সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ এ মানুষ এর জবাব দেবে।