মহালয়ার দিনে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তিস্তা নদীতে তর্পণ করেন বহু মানুষ।
তবে এবারের তিস্তা নদীর জল একদিকে শাস্ত্র মতে যেমন অপবিত্র ওপর দিকে পরিবেশ গত দিক থেকে অনেকটাই দূষিত।
সম্প্রতি উত্তর সিকিমের ধ্বংসলীলার দৃশ্য আজও ভেসে উঠছে তিস্তার জলে, প্রতিনিয়ত উদ্ধার করা হচ্ছে সেনা জওয়ান থেকে সাধারণ মানুষের মৃতদেহ,
নদীর অববাহিকায় উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে সেনা বাহিনীর ব্যাবহারের বিস্ফোরক সহ অত্যান্ত বিপদজনক বিভিন্ন ধরনের কামানের গোলা, এবং সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে নদীর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের ফাঁকা স্থানে।
রাত পোহালেই মহালয়ার পূণ্য তিথিতে তর্পণ।
এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় যোজমান সংঘের সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্ত্তী জানান,
সিকিমের ধ্বংসলীলার সবটাই তিস্তার জলে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুধু মানুষের নয় বহু পশুপাখি ও মৃত অবস্থায় তিস্তা নদীর জলে ভেসে আসছে আজও,
সেই সব দিক বিচার করেই বলছি শাস্ত্র মতে এই মুহূর্তে তিস্তা নদীর জল অপবিত্র।
সেই কারণেই মহালয়ার ভোরে তিস্তা নদীর জলে দাড়িয়ে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে যে তর্পণ করা হয়ে থাকে এবছর সেটা তিস্তা নদীতে করা হচ্ছে না।
তিস্তার জল শুদ্ধ হতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী বর্ষা পর্যন্ত, বর্ষার নতুন বৃষ্টির জলে আবার পবিত্র এবং দূষণ মুক্ত হবে তিস্তা নদীর জল।।