এক কাপ নীল চা। শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি।কাপে ঢালার পর চায়ের প্রথাগত লাল রং টাই নজরে আসে আমাদের।তবে আর একবার সকলকে চমকে দিয়েছে মাঝেরডাবরি চা বাগান।এবার তাদের নতুন চা “ব্লু পিয়া গ্রিন টি”।পুরোপুরি নীলাভ।কাপে ঢালার পর মনে হবে নীল চা রয়েছে।সাবেকি চায়ের বদলে বাজারে নতুন মাঝেরডাবরির ব্লু টি যে জনপ্রিয় হবেই তাতে নিশ্চিত চা মহলের একাংশ।শুধু তাই নয়, অপরাজিতা ফুলের সংমিশ্রণে, বিশেষ ভাবে প্রস্তুত অভিনব চায়ের পানিয়ের যথেষ্টই গুণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রস্তুত কারকরা।তবে এক্কেবারে চা বাগান থেকে প্রসেসিং অবদি পরপর চা তৈরির যে ধাপ গুলি রয়েছে আপাতত তা কিছুটা গোপন রাখছেন মাঝেরডাবরি কর্তৃপক্ষ।বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, গোটা বিশ্বে,দেশের বাজারে সাবেকি চায়ের বদলে নতুন ধরনের ফ্লেবার টির কদর গত ৫ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।এটা অর্থোডক্স বা সিটিসি নয়।পুরোপুরি গ্রীণ টি।বিশেষ ভাবে প্লাকিং করতে হয়।যা যথেষ্টই পরিশ্রম সাধ্য।হার্ট,কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।যেহেতু অপরাজিত ফুল এর সাথে যুক্ত রয়েছে, তাই নীলাভ চা। আমরা ব্লু পিয়া গ্রিন টি নামকরন করেছি।এর আগে ব্লু মুন টি,রোজ টি সহ একাধিক ফ্লেভারের গ্রীণ টি করেছি আমরা। তবে নীল চা এই প্রথমবার।উল্লেখ্য,নীল চা ইতিপূর্বে উত্তরবঙ্গের কোন চা বাগানে তৈরি হয়েছে কিনা সেই তথ্য এদিন পাওয়া যায়নি।তবে আলিপুরদুয়ার জেলার কোন চা বাগানে প্রথম এমন চা তৈরি করেছে।দাবি চা মহলের একাংশের।জানা গেছে, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে অপরাজিতা ফুল ফোটে।আপাতত এখন সামান্যই চা পাতা তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে মাঝেরডাবরি চা বাগান।চাহিদা বুঝে উৎপাদন বারবে।দাম অবশ্যই প্রথাগত সিটিসি, অর্থোডক্স চায়ের তুলনায় বেশি।শুধু দেশের বাজার নয়,বিদেশের বাজারেও নীল চা রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই যে সামান্য চা তৈরি হয়েছে তা নিমেশেই বিক্রি হয়ে গেছে।চা গাছের খুব নরম কুড়ি,ফুল সংগ্রহ করা হয়। ৬ টি ঋতুর মধ্যে মাত্র একটি ঋতুতেই এমন চা তৈরি সম্ভব। বাগানের কোনায় কোনায় লাগানো হয়েছে অপরাজিতা ফুলের গাছ।ঠান্ডা, গরম দুভাবেই চা পান করা যায়।