নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কোচবিহার জেলার দলীয় কোন্দলে রাশ টানতে রাজ্যের নির্দেশে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ষিয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মনীষী ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার অনুগামী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। শুক্রবার মনীষী ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটা খলিশা মাড়িতে পুজো দিয়ে তিনি তার নতুন দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হওয়ার শপথ গ্রহণ করলেন। প্রথম দিনের কর্মসূচিতেই বাজিমাত তার। একই মঞ্চে রবি পার্থ এক আলাদা নজির তৈরি করল কোচবিহারে। গোটা বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ছাড়া এই দুই নেতাকে এক মঞ্চে দেখা যায়নি কখনো। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল এই কারণেই কোচবিহারে নয় টির মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। প্রথম দিন কর্মসূচি গ্রহণ করেই গিরীন বাবু প্রমাণ করে দিলেন জেলার সকল স্তরের নেতৃত্বদের একত্রিত করে এক ছাতার নিচে নেই তিনি কাজ করবেন। গোষ্ঠী বলে কোন কিছুই থাকবেনা জেলায়। এই মর্মে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোচবিহার জেলায় সবথেকে শক্ত ঘাঁটি হিসেবে একসময় পরিগণিত হত কিন্তু পরবর্তীতে কিছু কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জেলার সকল স্তরের নেতৃত্ব দেন নিয়ে এক ছাতার নিচে রেখে দলকে সুসংবদ্ধ করে পরিচালনা করবেন তিনি বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন তিনি গিরিন বাবু তার উদাহরণ আজ খলিসামারি মঞ্চ থেকে পরিষ্কার। দলীয় নেতৃত্ব এবং অঞ্চল ভিত্তিক কর্মীদের তিনি বার্তা দিয়ে এদিন বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি না থাকলে নেতা হওয়া অসম্ভব। আপনারা মানুষের কাছে যাবেন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে হবে অথচ আপনি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নন সে ক্ষেত্রে আপনি কোন দিনই নেতা হতে পারবেন না। তাই নেতা হওয়ার জন্য সবার আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে আসুন। দলের ক্ষেত্রেও তিনি একই বার্তা দিয়ে বলেন, দলের নামে কেউ এমন কিছু করবেন না যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আজ খলিসামারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ প্রতিম রায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিনয় কৃষ্ণ বর্মন সহ অন্যান্য জেলার বর্ষীয়ান নেতৃত্ব।