সুনীল ছেত্রীকে আটকে রাখতে পারলেন না কম্বোডিয়ার বিশ্বকাপার কোচ কেসুকে হন্ডা। আসলে বয়স যতই ৩৭ হোক না কেন, সুনীল ছেত্রী নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তাতে খুব ভাল মানের রক্ষণ না হলে তাঁকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। ক্যাপ্টেন, লিডার, লেজেন্ডের জোড়া গোলে অনায়াস জয় পেয়ে গেল ভারত। ইগর স্টিমাচের ছেলেরা জিতলেন ২-০ গোলে।
ধারেভারে সুনীলদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে কম্বোডিয়া। তবুও গ্রুপের এই ম্যাচটাকেই ফাইনাল ম্যাচ হিসাবে ধরে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chetri)। এর একটাই কারণ, চার দলের গ্রুপে প্রথম ম্যাচে জিততে না পারলে, গ্রুপের শীর্ষস্থান পাওয়াটা কঠিনতম কাজ হয়ে যেত। তাই জেতার জন্য একেবারে শুরু থেকে ঝাঁপিয়েছিল ভারত। সেন্ট্রাল ডিফেন্স আঁটসাঁট রেখে কখনও দুই উইং দিয়ে আবার কখনও সেন্টার দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন মনবীর সিং, সুনীল ছেত্রীরা।
যার ফল মেলে ম্যাচের ১৪ মিনিটে। বক্সের ভিতরে বিশ্রী ভুল করে বসেন কম্বোডিয়ার ডিফেন্ডার। পেনাল্টি পেয়ে যায় ভারত। অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি। প্রথম গোলের পর থেকেই ভারত কম্বোডিয়ার উপর জাঁকিয়ে বসে। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোনও গোল আসেনি। দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে। এই গোলটি আসে সুনীলের মাথা থেকে। বাঁদিক থেকে ভাসানো বলে মাথা ঠেকিয়ে অনবদ্য ফিনিশ করেন তিনি। ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। ২০২২ সালে এটাই প্রথম জয় ভারতীয় ফুটবল দলের। শুধু তাই নয়, কোচ হিসাবে ঘরের মাঠে এটিই ইগর স্টিমাচের প্রথম জয়।
জয়ের ফলে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের শুরুটা বেশ ভালই হল ভারতের। আসলে টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থান দখল করা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হত ভারতকে। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া একটু বড় ব্যবধানেই জিততে চাইছিল এই ম্যাচটি। কিন্তু সেটা হল না। বেশ কয়েকটি গোল মিসও করল ভারতীয় ফরওয়ার্ডরা। সেটাই শেষ পর্যন্ত ভারতের কোয়ালিফিকেশনের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তেমনটাই প্রার্থনা থাকবে টিম ইন্ডিয়ার।