তুফানগঞ্জ,২৪ জুন:
স্ত্রীকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজেও বিষ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টা স্বামীর। আশংকাজনক অবস্থায় স্বামী সুজিত বর্মন ভর্তি তুফানগঞ্জ হাসপাতালে । মৃত স্ত্রীর নাম পূর্ণিমা বর্মন। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরী হয় সংশ্লিষ্ঠ এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । জানাযায় অসমের ধুবরী জেলার খেরবারি এলাকার যুবতীর সাথে নাককাটিগাছ GP র নাককাটি এলাকার বাসিন্দা সুজিত বর্মনের সামাজিক মতে বিয়ে হয প্রায় ৫ বছর হতে চলল। বর্তমানে তাদের একটি আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। বাড়িতে স্বামী সুজিত বর্মন সহ স্ত্রী পূর্ণিমা বর্মন, একমাত্র সন্তান এবং বৃদ্ধ মা থাকেন। মাঝে মাঝেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগে থাকতো। সুজিত বর্মনের মা জানান কিছু দিন থেকে তার অস্থিরতা ভাব লক্ষ করা যায় এবং সুজিত বর্মন এর জন্য তার স্ত্রী পূর্ণিমা বর্মন কে দোষারোপ করতো। সুজিত বর্মনের ধারনা তার স্ত্রী তাকে কিছু একটা করেছে যার জন্য তার এই অবস্থা। এই বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লাগতো । সূত্র মারফত জানা যায় যে সুজিত বর্মন ঠিকমত কাজ করতো না এতে সংসারে অভাব লেগে থাকতো এবং সে গাঁজা সেবন করতো। তার ফলেই অস্থিরতা ভাব লক্ষ করা যেতো।সুজিত বর্মনের স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থেকে গত বুধবার টাকা নিয়ে এসেছেন একটি অর্থলগ্নিকারি সংস্থার কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য। সুজিত বর্মনের মা আরও জানান তার ছেলে শুক্রবার দিন ভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একই বিষয়ে বিবাদ বাঁধে । এর পর পূর্ণিমা দেবী রাতের খাবার রান্না করেছিলেন। রাতের খাবার খেয়ে সকলে ঘুমিয়ে পরেন। শুক্রবার রাত আনুমানিক রাত ২ টা থেকে ২.৩০ মিনিট নাগাদ ছেলের বৌ চিৎকার করে। তিনি উঠে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে সেটা বন্ধ। এর পর তার ছেলে তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে নিজে বিষ পান করে। ততক্ষণে সব শেষ। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পূর্ণিমা বর্মন কে দেখতে পায় এবং সুজিত বর্মণ বিষ পান ছটপট করতে থাকলে তাকে ভোর ৩ টা নাগাদ নিয়ে আসা হয় তুফানগঞ্জ হাসপতালে। শনিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ( অস্থায়ী) অজিঙ্কা বিদ্যভর অনন্ত (IPS) । দেহ টিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। ময়না তদন্তের পর দেহ টিকে পরিবারের সদস্য দের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে থানা সূত্রে খবর। থানা সূত্রে জানা যায় পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে, কিভাবে মেরেছে ময়না তদন্তের পর সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।