সদ্যই মিটেছে রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যে কার্যত বিরোধীদের দুর্মুশ করে রেকর্ড ভোটে জিতেছে জোড়াফুল শিবির। অথচ সেই ভোট নিয়েই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘চার কেন্দ্রে EVM বদল হয়েছে। সমস্ত ভোটের মেশিন পাল্টেছে।’ তাঁর এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।

উল্লেখ্য, গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দা এবং দিনহাটা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। শান্তিপুর বাদ দিয়ে বাকি তিন কেন্দ্রে জামানত পর্যন্ত জব্দ হয়েছে BJP-র। দাগ কাটতে পারেনি CPIM-কংগ্রেসও। দিনহাটা এবং গোসাবায় লক্ষাধিক ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আর তার মধ্যেই উপনির্বাচনের এই ফল নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দীনদয়াল উপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘চার কেন্দ্রে EVM বদল হয়েছে। সমস্ত ভোটের মেশিন পালটেছে। বেহালা পূর্বের মেশিন গোনা হয়েছে গোসাবায়। গোসাবার সুব্রত মণ্ডল, দিনহাটার উদয়ন গুহ, ৮৬-৮৭ শতাংশ ভোট কেউ পায় উপনির্বাচনে? আমরা বুথ বের করছি। শান্তিপুর কলেজ বুথ, ৪৭৮ পেয়েছে তৃণমূল, ৮ BJP। ওই বুথে প্রেসিডেন্ট, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সহ ২০ জন BJP কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বাড়ির ভোট ৯২টা। তাঁরা বলছে আমার বাড়ির লোকরা তাহলে ভোট দেয়নি? ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।’

শুভেন্দুর এই দাবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘পাগলের প্রলাপ। BJP কর্মী, বাড়ির লোকের ভোট BJP পাচ্ছে না এটা বাস্তব। দলের ব্যর্থতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্যই ভোট পাচ্ছে না। আসলে ওঁর দোষে BJP হেরেছে, তাই মুখ দেখাতে পারছে না। অহেতুক বাজার গরম করার কোনও মানে নেই। ওঁর মনে হলে নির্বাচন কমিশনকে জানাক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *