নিউজ ডেস্কঃ উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা সুলতানার মুকুটে এবার নয়া পালক জুড়ল। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের অ্যাম্বাসাডর করা হচ্ছে রুমানাকে। শুক্রবার বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে রুমানাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হবে রুমানাকে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন রুমানা। জেলাশাসক এদিন জানান, ‘আমরা খুবই গর্বিত। আমাদের জেলা থেকে একজন ছাত্রী প্রথম হয়েছে। একজন ছাত্র অষ্টম হয়েছে। দু’জনকে সংবর্ধনা জানালাম। রাজ্য সরকারের প্রকল্প কন্যাশ্রীর অ্যাম্বাসাডর করা হবে রুমানাকে। উনি যা অর্জন করেছেন, তাতে যাতে বাকি পড়ুয়ারা উদ্বুদ্ধ হয়, সেই প্রচেষ্টা চালানো হবে’।
জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন,’মুর্শিদাবাদ বরাবরই ঐতিহাসিক ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের জেলার ছাত্রী গর্বিত করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হল’। রুমানার পাশাপাশি এদিন জেলার আরও এক কৃতী ছাত্র প্রীতম চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক (uccha madhyamik) পরীক্ষায় রাজ্যের প্রথম স্থানাধিকারীর ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করা নিয়ে তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষা মহল। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের (Mahua Das) পদত্যাগের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সংসদ সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত। বিতর্কের আবহে এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মহুয়া দাস।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের অ্যাম্বাসাডর করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম রুমানাকে
বিতর্ক প্রসঙ্গে মহুয়া দাস এদিন বলেছেন, ‘মেয়েটি শিক্ষারত্ন। সেই হিসেবে বলেছি। মহিলা সমাজে আমাদের অলঙ্কার। এও আমাদের পথিকৃৎ। আমাদের রত্ন। বেশি করে আলোয় আনতে চেয়েছি। সংসদ গর্বিত।একটা নিষ্পাপ মেয়ে একটি প্রত্যন্ত জেলা থেকে সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার ভালো ফল করেছে। আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করেছিলাম। সেই হিসেবে বলেছিলাম, যাতে মেয়েটির গৌরব শেয়ার করা যায়’। উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বাঙালি মুসলিম নারী সমাজের পথিকৃৎ। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো এনেছিলেন তিনি।
Read More –৪৯৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম মুর্শিদাবাদের রুমানা সুলতানা
প্রসঙ্গত, ফল ঘোষণার সময় পরীক্ষার্থীর নাম না করেই উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুর্শিদাবাদ জেলার এক মুসলিম গার্ল’। মহুয়ার এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয় নেট দুনিয়া।