প্রায় দেড় বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শয্যাশায়ী ময়নাগুড়ির যুবক বিপুল বর্মন (বয়স ২০
)। তার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে পরিবার । অর্থের অভাবে বর্তমান বিপুলের চিকিৎসা প্রায় বন্ধের মুখে । যার ফলে ছেলের চিকিৎসা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিপুলের পরিবার । এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তার পরিবার । বিপুলের মা বিমলা বর্মন বলেন , ' দেড় বছর ধরে ছেলের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে পথে বসার অবস্থা । এখন আর কিছু বাকি নেই যা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাব । এখনও প্রতি মাসে ছেলের চেকআপ ও ওষুধ বাবদ প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ । দিনমজুর করে সংসার চলে । কি করে ছেলের চিকিৎসা চালাব বুঝতে পারছি না । সরকারিভাবে বা কোন সংস্থার পক্ষ থেকে যদি ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে খুবই উপকৃত হব ।' পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা । তাই উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বিপুলের । উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরেই সংসারের হাল ধরতে গাড়ির চালক হিসাবে কাজ শুরু করে সে । কিন্তু সে মোটেই বুঝতে পারেনি গাড়ির চালকের কাজে শুরুতেই তাকে পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকতে হবে । প্রায় দেড় বছর আগে এক মালিকানা পিকআপ ভ্যানে করে ভাড়া মারতে গিয়ে ফালাকাটায় এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় বিপুল । তার বাঁ-পায়ের হাঁটুর নীচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয় । দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ দেড় বছরে শিলিগুড়ি , কলকাতা এবং বিহারের পাটনায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে তার । মোট তিনবার অপারেশন হয়েছে তার পায়ের । ব্যক্তিগত সম্পত্তির পাশাপাশি কিছু সহৃদয় ব্যক্তি ও সংস্থার সহযোগিতায় খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা । সেই টাকা খরচ করেও সময়মতো টাকা জোগাড় করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে না পারায় কাজের কাজ কিছু হয়নি । বরং বর্তমান বিপুলের বাঁ পায়ের হাঁটুর নীচের হাড় কেটে বাদ দিতে হয়েছে । এখন বিহারের পাটনায় এক বেসরকারি নার্সিং হোমের অধীনে বিপুলের চিকিৎসা চলছে । মাস তিনেক আগে সেখানে তার পায়ের অপারেশন করে হাড় বাদ দিতে হয়েছে । চিকিৎসকরা প্রতিমাসে চেকআপের পরামর্শ দিয়েছেন । কিন্তু অর্থের অভাবে বিপুলের পরিবার প্রতিমাসে চেকআপ করে চিকিৎসার খরচ টুকুও আর চালাতে অক্ষম । এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার অভাবে বিপুলের সেরে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়েছে । এখন এমনই পরিস্থিতি যে চিকিৎসক হুইলচেয়ার বা ওয়াকিং স্টিক ব্যবহারের পরামর্শ দিলেও দীর্ঘ দেড় বছরে বিপুলের পরিবারের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হয়নি । যার দরুন দীর্ঘ সময় ধরে এক বিছানায় শয্যাশায়ী রয়েছে বিপুল । ফলে হুইল চেয়ার বা ওয়াকিং স্টিক এর পাশাপাশি ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন দলের পরিবার ।
দেড় বছর শয্যাশায়ী যুবক, চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি বাবা মায়ের
RELATED ARTICLES