আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন তিনি বলেন, “সিলিকন ভ্যালির কথা বলা হয়েছিল, সেখানে এখন গরু-ছাগল চরছে।” তাঁর প্রশ্ন, “টাকার অপচয় করা হচ্ছে কীসের জন্য? বাংলার লোকেরা কী পেল? এর উত্তর খোঁজা উচিত। কিন্তু সরকারের কাছে কোনও উত্তর নেই।” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।
আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন: বঙ্গে বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেশনশন সেন্টারে আয়োজিত শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন ১৯টি দেশের প্রতিনিধিরা। থাকবেন শিল্পপতি গৌতম আদানি-সহ আরও অনেকে।
করোনার প্রকোপের কারণে গত ২ বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে অন্য রকম উৎসাহ।বুধবার নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেশনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এবার বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ১৯টি দেশের শিল্প-প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে আছে ব্রিটেন, আমেরিকা, চিন, জাপান, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানির মতো দেশ। সবচেয়ে ৪৯ জনের বড় প্রতিনিধি দল এসেছে ব্রিটেন থেকে। বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহী আদানি গোষ্ঠী।
বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে থাকবেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিও। এছাড়াও শিল্পপতিদের মধ্যে থাকছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়ারা। ২০২১-এ তৃতীয় ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলার শিল্পক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ আনা এবং কর্মসংস্থান তৈরি করাই তাঁর পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যেই এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন সারা হয়েছে সাড়ম্বরে।
যদিও বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই বিজনেস সামিটে থাকবেন কিনা, সে ব্যাপারে নবান্ন থেকে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে, পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল গুজরাতে থাকার কথা নরেন্দ্র মোদির। ফলে আজ গুজরাতের কর্মসূচি সেরে কলকাতায় শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী আসতে পারবেন কিনা, সেব্যাপারে সংশয় তৈরি হয়েছে।