কোচবিহার:
ঝড়ে বিধ্বস্ত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ পর ২ দিন কেটে গেলেও এখনো সেই মানুষগুলির অবস্থা তথৈবচ। নামেমাত্র সরকারি সাহায্য এখনো দিন কাটাতে হচ্ছে সেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। বাড়িঘর ভেঙ্গে একদম কিছুই নেই তার মধ্যেও মেলেনি সরকারি সাহায্য কেউ কেউ দু’একটি ত্রিপাল পেলেও এখনো তারা দিন কাটাচ্ছেন শূন্য আকাশের তলায়। এর মাঝেই গতকাল রাতে আবার ঝড় বৃষ্টি হয় ফলে স্বভাবতই কঠিন এক ভয়াবহতার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে এই সমস্ত মানুষদের।
কেন এখনো এসে পৌঁছলো না সরকারি সাহায্য। যদিও কোচবিহার জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন তাদের সাহায্য করা হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী এবং জেলা শাসক পবন কাদিয়ান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোথাও কোথাও খাবার দেওয়া হচ্ছে তবে তাদের পুনর্বাসন এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা প্রশাসন। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি, মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা বিজেপি একমাত্র পেশা বলে কটাক্ষ রাজনৈতিক মহলে। এরই মাঝে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশিত প্রামানিক বলেন এখনো পর্যন্ত রাজ্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে কোন সাহায্য চাওয়া হয়নি। কি কারণে তা জানা নেই তাদের তবে তাদের এনডিআরএফের ৪ হাজার কর্মী তৈরি রয়েছেন যেকোনো মোকাবেলা সাহায্য করতে পাশাপাশি রাজ্য চাইলে জেলা প্রশাসন চাইলে যেকোন সময় সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য ফলে স্বভাবতই নিয়মের বেড়াজালে আটকে এই সমস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেনা কেন্দ্র। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি কথা কোচবিহারের পৌরসভার পৌরপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন – কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিজেই সংসদ এলাকায় এই মানুষদের পাশে একবারও দাঁড়াননি। বিজেপির কোন নেতা নেত্রী কে দেখতে পাওয়া যায়নি। দেখা করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন খুব দ্রুত মৃত্যুর পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য। এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের খাবার ওষুধ পাঠানো হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য তার জন্য কেন্দ্রের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা নেই। যে সাংসদ মন্ত্রী সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে তাদের সাথে রাজনীতি করে অন্তত পক্ষে তার সাহায্যের প্রয়োজন নেই।