নিউজ ডেস্ক:
রাজ্যে পালাবদলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির হালহকিকত। এবার সেই সিঙ্গুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কথা চিন্তাভাবনা করছে BJP। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্য কৃষকদের প্রতি উদাসীন। আর এই অভিযোগকে সামনে রেখেই ১৪, ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর সিঙ্গুরে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
শনিবার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনায় উপস্থিত থাকবেন BJP-র প্রথম সারির নেতারা। তবে এই ধরনা মঞ্চের মূল দায়িত্ব থাকবে রাজ্য BJP-র কৃষক মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকারের উপর। শনিবার কিষাণ মোর্চার নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা অত্যন্ত অসুবিধা এবং সংকটের মধ্যে রয়েছে। রাজ্য সরকার কৃষকদের প্রতি কোনও এক অজ্ঞাত কারণে উদাসীন। বর্ষার জন্য যেভাবে আলু, আমন ধান প্রায় ৫০ শতাংশ তোলা যায়নি, ফুল এবং শীতকালিন সবজি ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ৭টি দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছি। রাজ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনাতে একজন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একজন BDO পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে যায়নি। শাসক দল কথায় কথায় নাগাল্যান্ড, উত্তরপ্রদেশে প্রতিনিধি দল পাঠায়। কিন্তু, এই কৃষকের বাড়িতে কেউ যায়নি। BJP-র একটি প্রতিনিধি দল ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করছে। আমরা আগামী দিনে তাঁদের পাশে থাকব। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্য সার ও বীজ দেওয়া হোক।’
এর আগেও সিঙ্গুরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। এমনকী, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। কিন্ত, বেচারাম মান্নার কাছে পরাজিত হন রবীন্দ্রনাথ। ফের একবার সিঙ্গুরে BJP-র ধরনায় বসা রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের নির্বাচনের পর সিঙ্গুর থেকে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রাজ্যে লড়াইয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির, মনে করছে অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। ইতিমধ্যেই এই ধরনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।