হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দিন তারপর সরস্বতী পূজা। তবে প্রতিমা তৈরি করেও চিন্তায় কপালে ভাঁজ দিনহাটার মৃৎশিল্পীদের। উত্তরের সংবাদ-এর ক্যামেরা যখন দিনহাটা পালপাড়ায় পৌঁছালো সেই সময় তাদের মুখ থেকে উঠে এলো নানান কথা। করোনা আবহের মধ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর বাগদেবীর বন্দনায় ব্রতী হয় বিদ্যালয়,কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব এবং বাড়িতেও পুজো হয়ে থাকে মা স্বরসতীর। তবে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দিন বাকি থাকলেও এখনো পর্যন্ত সেভাবে প্রতিমার অর্ডার মেলেনি। তা নিয়ে অত্যন্ত মনভার মৃৎশিল্পীদের। তাদের মুখ থেকে উঠে আসে করুন বিষাদের সুর।
উল্লেখ্য দীর্ঘ 2 বছর থেকে করণার কালো ছায়ায় মৃৎ শিল্পীদের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।বারংবার লকডাউন এবং বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যে পূজা-পার্বণ বন্ধ থাকায় কিংবা সীমিত হয়ে যাওয়ায় প্রতিমা অর্ডার পাননি মৃৎশিল্পীরা। এই মুহূর্তে দিনহাটা পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা এই মুহূর্তে বেশ চিন্তিত।
মৃৎশিল্পী বাবু পাল অত্যন্ত করুণ সুরে বলেন, আমরা প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুর তৈরি করেছি কিন্তু স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কিভাবে পুজো হবে তা বুঝে উঠতে পারছিনা। দু-একটি ছাড়া এখনো প্রতিমা অর্ডার পাইনি, পূজার মাত্র বাকি চার পাঁচ দিন। আগামী দিনে বজ্রাঘাত এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের অবস্থা খুব খারাপ।
আরেক মৃৎশিল্পী আশিস পাল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। অন্যান্য পুজো গুলির মত মতো এবারও আমরা অশনিসংকেত দেখছি। দু বছর থেকে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। সরকার আমাদের দিকে দেখছেই না।