নিজস্ব সংবাদদাতা:
লোকসভা নির্বাচনের পর শীতলকুচি বিধানসভা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকার নেতা শায়ের আলী এর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সফল হয়েছে। আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল পুনরায় পুনরুদ্ধার করতে সফল হয়েছে শায়ের আলী। 2021 বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান সেনাপতি। লোকসভা নির্বাচনের পর এক এক করে মোট নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত হারিয়ে ফেলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । এখন চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। যদিওবা 2019 লোকসভা নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে জয়লাভ করেছিল। তার পরেও বিভিন্ন চাপে পড়ে দলীয় নেতৃত্ব হার স্বীকার করেছিল প্রধান বিরোধী বিজেপির কাছে। শায়ের আলী বলেন, 2021 বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল যথেষ্ট সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে। প্রার্থী মনঃপুত হলে পরে অবশ্যই বিধানসভা এলাকা থেকে নিশ্চিত জয়লাভ হবে তৃণমূল কংগ্রেসের।
অনান্য খবর- অবশেষে চলবে সরকারি বেসরকারি বাস,অটো
লোকসভা নির্বাচনের পরে দলের স্বার্থে যে সমস্ত নেতৃত্ব শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় দলীয় সংগঠন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করেছেন যুবক এবং দলীয় কাজে নিপুণ পার্থী চাইছেন শীতলকুচি বিধানসভা । শায়েদ আলী দাবি করেন, পছন্দের প্রার্থী হলে অবশ্যই ন্যূনতম 50 হাজার ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার দাবি এলাকায় বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির বিশেষ কোনো অস্তিত্ব নেই। এখনো পর্যন্ত এলাকায় কোন মিটিং মিছিল সংঘটিত করতে পারেনি বিজেপি। তাই একপ্রকার সুনিশ্চিত আসন শীতলকুচি। কে প্রার্থী হবেন, এই বিষয়ে তিনি পরিষ্কার জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে শীতলকুচি জন্য পছন্দের মনে করবেন সেই হবে প্রার্থী। মূলত সম্পূর্ণ বিধানসভা এলাকায় ভোট হবে জোড়া ফুল চিহ্ন কে সামনে রেখে।
অনান্য খবর- দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসূত্র, দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে একমাত্র পাথেয় উন্নয়ন,তাই নিয়ে জনতার দরবারে তৃণমূল কংগ্রেস।
একই সাথে সাধারণ মানুষের চাহিদা কে সামনে রেখে। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই শীতলকুচি বিধানসভা এলাকার 93% মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 57 টি প্রকল্পের আওতাভুক্ত। সুতরাং তারা জানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করলে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত। পাশাপাশি শীতলকুচি ব্রকের কোর কমিটির সদস্য সুশান্ত কুমার মহন্ত দাবি করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত কাজ করেছেন তা নজিরবিহীন। শীতলকুচি বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে চলেছেন মনীষী ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা। ইতিমধ্যেই শীতলকুচি এলাকায় পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনান্য খবর- দীঘায় পর্যটকদের ভীড় জমতে শুরু করেছে।
এলাকার নেতৃত্বের দাবি, এই ঘোষনা অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণে। এলাকার রাস্তাঘাট এবং বৈদ্যুতিক আলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান সরকার। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই উন্নয়নের বার্তা কে সামনে রেখে প্রচার অভিযান চলবে। দলীয় প্রার্থী যেই হোক না কেন তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া ফুল লোগো কে সামনে রেখে প্রচার চালিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।